মিশর তার পর্যটন শিল্পকে আরও উন্নত করতে এবং বিশ্বজুড়ে ভ্রমণকারীদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশটি এখন পর্যটকদের জন্য ১৮০ দিনের মাল্টিপল-এন্ট্রি ভিসা চালু করেছে, যা ভ্রমণকারীদের মিশরে ছয় মাস পর্যন্ত থাকার সুবিধা দেবে। এই নতুন ভিসা নীতি মিশরকে ডিজিটাল যাযাবর, ব্যবসায়ী এবং দীর্ঘ সময় ধরে মিশরে থাকতে ইচ্ছুক প্রবাসীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।
এই বর্ধিত ভিসা সুবিধাটি মিশরের পর্যটন খাতের সম্প্রসারণের একটি অংশ। সরকার পর্যটন অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতেও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হলো আবাসিক ও বাণিজ্যিক সম্পত্তিকে হোটেলে রূপান্তর করার জন্য ফি মওকুফ করা, যা দেশের হোটেল ধারণক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। বর্তমানে মিশরে ৭,০০০ এর বেশি পর্যটন প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ১,৩০০ হোটেল। সরকার ২০৩১ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ৫০০,০০০ রুমে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, যার উদ্দেশ্য বছরে ৩০ মিলিয়ন পর্যটককে আকৃষ্ট করা।
নতুন ১৮০ দিনের ভিসা নীতিটি মূলত পাঁচ বছরের মাল্টিপল-এন্ট্রি ভিসার আওতায় পড়বে। এই ভিসার মাধ্যমে ভ্রমণকারীরা প্রতিবার ৩০ দিন পর্যন্ত মিশরে থাকতে পারবেন এবং পুরো ছয় মাস মেয়াদকালে একাধিকবার প্রবেশ করতে পারবেন। পূর্বে, এই ভিসার মেয়াদ ছিল ৯০ দিন। এই পরিবর্তন দীর্ঘমেয়াদী ভ্রমণকারী, ব্যবসায়ী এবং মিশরের সাথে সম্পর্কযুক্ত প্রবাসী নাগরিকদের আকৃষ্ট করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই নতুন ভিসার জন্য আবেদন করতে, ভ্রমণকারীদের তাদের নিজ দেশের মিশরীয় দূতাবাস বা কনস্যুলেটের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। আবেদনের জন্য একটি বৈধ পাসপোর্ট, পূরণকৃত আবেদন ফর্ম এবং প্রয়োজনীয় ফি জমা দিতে হবে। ভিসা প্রক্রিয়াকরণের জন্য পর্যাপ্ত সময় বিবেচনা করে ভ্রমণের তারিখের অনেক আগে আবেদন জমা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
মিশরের এই ভিসা নীতিতে পরিবর্তন দেশটির পর্যটন শিল্পে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এটি কেবল পর্যটকদেরই আকৃষ্ট করবে না, বরং মিশরের অর্থনীতিকেও শক্তিশালী করবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে মিশর বিশ্ব পর্যটন বাজারে তার অবস্থান আরও সুদৃঢ় করবে এবং দীর্ঘমেয়াদী ভ্রমণকারীদের জন্য একটি প্রধান গন্তব্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।