সংক্ষিপ্ত ঘুমে সৃজনশীলতা ও সমস্যা সমাধানে নতুন দিগন্ত, গবেষণায় প্রকাশ

সম্পাদনা করেছেন: Liliya Shabalina

প্লস বায়োলজি জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় জানা গেছে যে মাত্র ২০ মিনিটের সংক্ষিপ্ত ঘুম জটিল সমস্যার সমাধানে উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটাতে পারে। হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখিয়েছেন যে গভীর ঘুম মস্তিষ্কে এমন মানসিক সংযোগ স্থাপন করে যা জাগরণের সময় উপলব্ধ হয় না, এক ধরনের অন্তর্দৃষ্টি যা বাঙালি সাহিত্য ও সংস্কৃতির গভীরতা স্মরণ করিয়ে দেয়।

এই পরীক্ষায় ৯০ জন অংশগ্রহণকারী একটি পয়েন্ট-ট্র্যাকিং কাজ সম্পাদন করেন। ২০ মিনিটের ঘুমের পর, ইলেক্ট্রোএনসেফালোগ্রাফি (EEG) দ্বারা মস্তিষ্কের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হয়। প্রায় ৭১% অংশগ্রহণকারী একটি "ইউরেকা" মুহূর্ত অনুভব করেন, যেখানে তারা কাজটি সহজ করার একটি কৌশল আবিষ্কার করেন। যারা N2 স্তরের ঘুমে পৌঁছেছেন তাদের সফলতার হার ছিল ৮৬%, তুলনায় ৫৬% যারা জাগ্রত ছিলেন এবং ৬৪% যারা N1 স্তরে ছিলেন।

EEG প্যাটার্ন থেকে জানা গেছে, গভীর ঘুমের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি তীব্র স্পেকট্রাল স্লোপ হঠাৎ প্রেরণার সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। এই আবিষ্কারগুলি প্রমাণ করে যে ঘুম, বিশেষ করে N2 পর্যায়ে পৌঁছানো সংক্ষিপ্ত ঘুম, সৃজনশীলতা ও সমস্যা সমাধানে সহায়ক হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এই ক্ষুদ্র ঘুমগুলি সৃজনশীলতা ও অন্তর্মুখীতার বিকাশে একটি কার্যকর হাতিয়ার হতে পারে, যা আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার বাঙালি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাথে গভীরভাবে মিশে আছে।

উৎসসমূহ

  • Noticias SIN

  • Infobae

  • El País

  • El País

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।