ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠা: উৎপাদনশীলতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর এর প্রভাব

সম্পাদনা করেছেন: Anna 🌎 Krasko

৫ এএম ক্লাব-এর ধারণাটি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, যেখানে ভোর ৫টায় ঘুম থেকে উঠে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর কথা বলা হয়। এই অভ্যাসটি কিভাবে আমাদের জীবনে প্রভাব ফেলে, আসুন জেনে নেওয়া যাক।

গবেষণা এবং তথ্য:

গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন, তাদের মধ্যে মনোযোগ এবং সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও, জার্নাল অফ স্লিপ রিসার্চে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যারা সকালে ওঠেন, তাদের মধ্যে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগের সমস্যা তুলনামূলকভাবে কম দেখা যায়।

শুরুর কৌশল:

ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস শুরু করতে হলে, রাতে পর্যাপ্ত ঘুমের ব্যবস্থা করা জরুরি। ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপের ব্যবহার কমিয়ে, একটি শান্ত ও অন্ধকার ঘর তৈরি করা যেতে পারে। সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের জন্য কিছু সময় রাখা যেতে পারে, যেমন হালকা ব্যায়াম বা ধ্যান করা। এই অভ্যাসটি ধীরে ধীরে তৈরি করতে হয়, তাই প্রথম দিকে অল্প সময়ের জন্য ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন এবং ধীরে ধীরে সময় বাড়ান।

উপসংহার:

ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস আমাদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সহায়ক হতে পারে। এটি একটি জীবনযাত্রার পরিবর্তন, যা আমাদের প্রতিদিনের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই, সুস্থ জীবনযাপনের জন্য এই অভ্যাসটি গ্রহণ করা যেতে পারে।

উৎসসমূহ

  • LaVanguardia

  • Xataka

  • HuffPost España

  • 20minutos

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।

ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠা: উৎপাদনশীলতা এবং মানস... | Gaya One