আয়ারল্যান্ডের মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলোতে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, যা মানসিক স্বাস্থ্য কমিশনের (MHC) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা যায় [৩]। এই পরিবর্তনগুলো মানবিক এবং ব্যক্তি-কেন্দ্রিক যত্নের দিকে একটি পদক্ষেপ [৩]।
প্রতিবেদনে ২০১৮ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে শারীরিক নিয়ন্ত্রণ ও পৃথকীকরণসহ বিধিনিষেধমূলক অনুশীলনের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে [৩]। শিশু ও কিশোর মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলোতে (CAMHS) শারীরিক নিয়ন্ত্রণের ব্যবহার ৯১% হ্রাস পেয়েছে [১]। এই উন্নতির কারণ হলো নিয়ন্ত্রক পরিবর্তন এবং থেরাপিউটিক যত্নের প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি [১]। ২০২৩ সালে শিশুদের জন্য যান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণের উপর এমএইচসি-র নিষেধাজ্ঞা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে [১]।
অধ্যাপক জিম লুসি মানবাধিকার-ভিত্তিক পদ্ধতির ওপর জোর দিয়েছেন, যা শিশুদের আঘাতের দুর্বলতাকে স্বীকৃতি দেয় [১]। এমএইচসি-র প্রধান নির্বাহী জন ফারেলি নিয়ন্ত্রক পরিবর্তন এবং কর্মীদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন [১]।
সরকারের পরিকল্পনায় মানসিক স্বাস্থ্য বিল ২০২৪ প্রণয়ন এবং একটি দশ-বর্ষের মানসিক স্বাস্থ্য পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে [১, ২]। এই বিলটি মানসিক স্বাস্থ্য আইন ২০০১-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংশোধন [১]।
এমএইচসি-র ২০২৪ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে কিছু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গুরুতর অ-আনুগত্যের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে [৩]। তবে, সামগ্রিক পরিস্থিতি মানসিক স্বাস্থ্যখাতে সহানুভূতিশীল এবং অধিকার-ভিত্তিক পদ্ধতির প্রচার করে [১, ৩]।