টিনা আম্বানি এবং শেখর কাপুরের সমর্থনপুষ্ট ‘স্কুল অফ অ্যাপ্লাইড ক্রিয়েটিভিটি’ ভারতে সৃজনশীলতার প্রসারে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এই উদ্যোগটি কিভাবে ভারতের শিল্পী, ডিজাইনার এবং মিডিয়া পেশাদারদের ভবিষ্যৎ গড়তে সাহায্য করবে, তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা করা হলো।
সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, ভারতের সৃজনশীল শিল্পখাত গত পাঁচ বছরে প্রায় ১৩% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বৃদ্ধি প্রমাণ করে যে, সৃজনশীল পেশাদারদের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। স্কুল অফ অ্যাপ্লাইড ক্রিয়েটিভিটি এই চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে কাজ করছে, যেখানে শিল্প, ডিজাইন, মিডিয়া এবং প্রযুক্তির উপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।
শেখর কাপুরের মতো খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতার অংশগ্রহণ এই প্রকল্পের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তোলে। তাঁর চলচ্চিত্র, যেমন ‘মি. ইন্ডিয়া’, সৃজনশীল গল্প বলার গুরুত্ব তুলে ধরে। স্কুলটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামগ্রিক চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটাতে চায়, যা সৃজনশীল ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য অপরিহার্য।
টিনা আম্বানির পরোপকারী কার্যক্রম এবং কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালের সঙ্গে তাঁর সংযোগ এই প্রকল্পের জন্য মূল্যবান। তাঁর অভিজ্ঞতা সৃজনশীল শিক্ষার ক্ষেত্রে নতুন দিকনির্দেশনা যোগ করবে। স্কুলটি এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে চায় যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের সৃজনশীলতাকে বিকশিত করতে পারে এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হতে পারে।
সবশেষে, স্কুল অফ অ্যাপ্লাইড ক্রিয়েটিভিটি ভারতের সৃজনশীল নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন এবং শিক্ষার একটি সমন্বিত রূপ, যা তরুণ প্রজন্মের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে, ভারত তার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করতে এবং বিশ্ব মঞ্চে নিজেদের স্থান করে নিতে পারবে।