পুনে, ভারত – আগস্ট ২৩, ২০২৩-এ অনুষ্ঠিত একটি এআই-ড্রোন-রোবোটিকস কর্মশালা শিক্ষা ক্ষেত্রে নিউরোসায়েন্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), ড্রোন এবং রোবোটিকসের সমন্বয়ের এক উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ব্রেইনহ্যাপ (BrainHap) কর্তৃক আয়োজিত এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (IIT) বোম্বে ও অ্যারোবট (Aerobott)-এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে 'নিউরোকেলম ৪২' (NeuroCalm 42) নামক একটি অত্যাধুনিক ব্রেইন-ম্যাপিং প্রযুক্তি উন্মোচন করা হয়। এই প্রযুক্তি শিক্ষার্থীদের জ্ঞানীয় দক্ষতা, মনোযোগ এবং মানসিক ভারসাম্য উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করবে।
আইআইটি বোম্বের মনোবিজ্ঞান ও নিউরোসায়েন্স গবেষক ডঃ আজিজুদ্দিন খান তাঁর বক্তব্যে জ্ঞানীয় প্রশিক্ষণ এবং ডিজিটাল সুস্থতার উপর জোর দেন। তিনি বলেন যে, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য ব্রেইন ম্যাপিং এবং মানসিক ভারসাম্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অংশগ্রহণকারীরা উন্নত মনোযোগের জন্য মস্তিষ্ককে পুনরায় সক্রিয় করার লক্ষ্যে মন-প্রশিক্ষণ কৌশলগুলি সরাসরি অভিজ্ঞতা লাভ করেন।
কর্মশালায় ড্রোন তৈরি ও উড্ডয়ন এবং রোবোটিকসের বিভিন্ন প্রদর্শনীর মাধ্যমে অটোমেশন প্রযুক্তির ব্যবহারিক প্রয়োগ দেখানো হয়। এআই (AI) লার্নিং টুলস এবং ইন্টারেক্টিভ মডিউলগুলি প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থায় রূপান্তর আনার সম্ভাবনা তুলে ধরে। ব্রেইনহ্যাপের প্রতিষ্ঠাতা জ্যোতি গুপ্তা 'নিউরোকেলম ৪২'-কে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ এবং মানসিক শক্তি পুনরুদ্ধারের একটি আন্দোলন হিসেবে বর্ণনা করেন।
এই কর্মশালাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার অগ্রগতিতে একটি নতুন প্রতিশ্রুতি নিয়ে শেষ হয়। নিউরোসায়েন্স, এআই, ড্রোন এবং রোবোটিকসের মেলবন্ধনের প্রতীক হিসেবে 'নিউরোকেলম ৪২'-এর উন্মোচন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর, বুদ্ধিমান এবং ভবিষ্যৎ-প্রস্তুত সমাজ গঠনে সহায়ক হবে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিউরোসায়েন্স-ভিত্তিক পদ্ধতিগুলি শিক্ষার্থীদের শেখার প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে পারে, বিশেষ করে মনোযোগ এবং মানসিক স্থিতিশীলতা বাড়াতে এই কৌশলগুলি অত্যন্ত কার্যকর।
ভারতের মতো দেশে, যেখানে প্রযুক্তি-চালিত শিক্ষার চাহিদা বাড়ছে, সেখানে এই ধরনের কর্মশালাগুলি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি (NEP) ২০২০-ও প্রযুক্তি-ভিত্তিক শিক্ষাকে উৎসাহিত করেছে, যা এই উদ্যোগগুলির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমস্যা-সমাধান এবং সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনার দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে, যা STEM শিক্ষার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রায় ৩০-৪০% শিক্ষার্থী-সং engagement বৃদ্ধি এবং STEM বিষয়গুলিতে অধিক আগ্রহ দেখা গেছে যে সকল স্কুল এই ধরনের ল্যাব গ্রহণ করেছে।