বর্তমান যুগে দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে জীবনব্যাপী শিক্ষা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। এটি পেশাগত বিকাশের জন্য অবিরাম জ্ঞান এবং দক্ষতা অর্জনের প্রক্রিয়া। জীবনব্যাপী শিক্ষা কেবল আনুষ্ঠানিক শিক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং কর্মক্ষেত্র, অনলাইন কোর্স, স্ব-অধ্যয়ন এবং ব্যবহারিক অভিজ্ঞতার মাধ্যমেও অর্জিত হয়।
নতুন পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নিতে এবং নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে জ্ঞান পুনর্গঠন করতে 'আনলার্ন' এবং 'রিলার্ন' করার ক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, যারা শিখতে, ভুলতে এবং পুনরায় শিখতে পারবে না, তারা একবিংশ শতাব্দীর নিরক্ষর হবে।
মানুষের মস্তিষ্ক নমনীয়, তবে এর জন্য প্রচেষ্টা এবং উন্মুক্ততা প্রয়োজন। জীবনব্যাপী শিক্ষার সুবিধাগুলির মধ্যে রয়েছে পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানো, পেশাগত বৃদ্ধি, ব্যক্তিগত উন্নয়ন, সৃজনশীলতা এবং অনুপ্রেরণা।
বর্তমানে, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করা হচ্ছে, যা কর্মীদের নতুন দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে। এই প্রোগ্রামগুলি বিভিন্ন সেক্টরে, যেমন - স্বাস্থ্যসেবা, পর্যটন এবং খুচরা খাতে উপলব্ধ।
জীবনব্যাপী শিক্ষার মানসিকতা তৈরি করতে ভুলকে গুরুত্ব দেওয়া, প্রক্রিয়াকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন। এই অভ্যাসগুলি অন্বেষণ, কৌতূহল এবং অভিযোজনকে উৎসাহিত করে, যা আজকের গতিশীল পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা।
জীবনব্যাপী শিক্ষা ব্যক্তি এবং সংস্থা উভয়কেই ভবিষ্যতের জন্য প্রাসঙ্গিক এবং উদ্ভাবনী থাকতে সাহায্য করে।