বারবারা অ্যারোস্মিথ-ইয়ং, একজন প্রখ্যাত লেখিকা ও বিজ্ঞানী, শেখার অসুবিধা মোকাবেলায় নিউরোপ্লাস্টিসিটি-ভিত্তিক একটি পদ্ধতির পথপ্রদর্শক হয়েছেন। তাঁর অ্যারোস্মিথ প্রোগ্রাম মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশগুলোকে শক্তিশালী করতে মনস্তাত্ত্বিক ব্যায়ামের মাধ্যমে ADHD ও ডিসলেক্সিয়া মতো চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। এই উদ্ভাবনী পদ্ধতিটি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেয়েছে।
২০২৫ সালের মধ্যে, অ্যারোস্মিথ প্রোগ্রাম যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং মালয়েশিয়ার ৬৫টিরও বেশি বিদ্যালয়ে কার্যকর হচ্ছে। এই সম্প্রসারণ শিক্ষা ও স্নায়ুবিজ্ঞান ক্ষেত্রে এর অনন্য দৃষ্টিভঙ্গির ক্রমবর্ধমান গ্রহণযোগ্যতার প্রতিফলন। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গবেষণা প্রোগ্রামের কার্যকারিতা সমর্থন করে।
গবেষণাগুলো দেখিয়েছে যে শেখার অসুবিধাযুক্ত শিশুদের মধ্যে একাডেমিক ও জ্ঞানীয় দক্ষতায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। অ্যারোস্মিথ-ইয়ং-এর ব্লগ পোস্ট, "কিভাবে লক্ষ্যভিত্তিক নিউরোপ্লাস্টিক প্রশিক্ষণ আমাদের মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ করে," আরও ব্যাখ্যা করে কিভাবে নিউরোপ্লাস্টিসিটি জ্ঞানীয় কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রোগ্রামটি মনোযোগ, নতুনত্ব এবং জটিলতার মতো নীতিগুলো ব্যবহার করে নির্দিষ্ট জ্ঞানীয় কার্যক্রমকে উদ্দীপিত ও শক্তিশালী করে।
২০২৫ সালে, অ্যারোস্মিথ-ইয়ং-এর নিউরোপ্লাস্টিসিটি পদ্ধতি শেখার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ব্যক্তিদের জন্য কার্যকর সমাধান প্রদান অব্যাহত রেখেছে। এটি মস্তিষ্কের অসাধারণ অভিযোজন এবং উন্নতির ক্ষমতাকে প্রমাণ করে, লক্ষ্যভিত্তিক জ্ঞানীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবন রূপান্তরিত করছে। এই প্রগতিশীল পদ্ধতিটি আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ বাঙালি বুদ্ধিজীবী সমাজের মননশীলতা ও আবেগকে ছুঁয়ে যায়।