চেক প্রজাতন্ত্রের এক ছাত্রের বিজ্ঞান ও শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডে অসাধারণ সাফল্য

সম্পাদনা করেছেন: Olga Samsonova

চেক প্রজাতন্ত্রে প্রতি বছর আয়োজিত 'স্ট্রেডোসকোলাক রোকু' (Středoškolák roku) বা 'বর্ষসেরা উচ্চমাধ্যমিক ছাত্র' প্রতিযোগিতাটি ব্যতিক্রমী সহশিক্ষা কার্যক্রম এবং প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের সম্মান জানায়। এই প্রতিযোগিতায় শীর্ষ ২৫ ফাইনালিস্টের মধ্যে একজন ছাত্রের বিজ্ঞান ও শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডে এগিয়ে যাওয়ার গল্প অনেকের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমে তার নিষ্ঠা এবং অবদানের জন্য ষষ্ঠ স্থান অর্জন করে এই ছাত্রটি এক বিশেষ স্বীকৃতি লাভ করে। এই সম্মাননা তার ধারাবাহিক প্রচেষ্টা ও অংশগ্রহণের এক বিরাট পুরস্কার হিসেবে কাজ করেছে।

ছোটবেলা থেকেই অনুসন্ধিৎসু এই ছাত্রটি প্রথাগত শিক্ষার বাইরে জ্ঞান অর্জনের পথে হেঁটেছে। এর ফলে সে বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে, যেখানে সে একজন সাধারণ অংশগ্রহণকারী থেকে আয়োজক হয়ে ওঠে, নতুন সংযোগ স্থাপন করে এবং নতুন সুযোগের দ্বার উন্মোচন করে। স্কুলে পরিচিত হওয়ার পর এবং কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ে বিভিন্ন তথ্যচিত্র ও বই পড়ার মাধ্যমে জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রতি তার আগ্রহ আরও গভীর হয়। গণিত ও পদার্থবিদ্যার মাধ্যমে দূরবর্তী মহাকাশীয় বস্তুগুলোকে বোঝার ক্ষমতা এবং এই নীতিগুলো কল্পবিজ্ঞানে প্রতিফলিত হতে দেখা তার এই আগ্রহকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

ব্যক্তিগত বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের বাইরেও, এই ছাত্রটি জ্ঞান ভাগ করে নেওয়ার এবং অন্যদের অনুপ্রাণিত করার আকাঙ্ক্ষা দ্বারা চালিত হয়। "জভাস ভিয়েদু!" (Zvaž Vědu!) বা "বিজ্ঞান বিবেচনা করুন!" নামক একটি উদ্যোগের মাধ্যমে সে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্র উপস্থাপন করার সুযোগ করে দেয়, বিশেষ করে যারা তাদের ভবিষ্যৎ শিক্ষাগত পথ নিয়ে অনিশ্চিত তাদের জন্য একটি নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করে। এই উদ্যোগটি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক শাখাকে তুলে ধরার একটি মঞ্চ প্রদান করে, যা অংশগ্রহণকারীদের শিক্ষাগত দিকনির্দেশনাকে প্রভাবিত করতে পারে।

ভবিষ্যতে জ্যোতির্বিদ্যা এবং জ্যোতির্পদার্থবিদ্যায় ডক্টরেট করার ইচ্ছা রয়েছে এই ছাত্রটির, সম্ভবত চিলির ইউরোপীয় দক্ষিণ মানমন্দিরের মতো একটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে। একই সাথে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে বিজ্ঞান জনপ্রিয় করার প্রতিশ্রুতি একটি মূল লক্ষ্য হিসেবে রয়ে গেছে। এই জনপ্রিয়করণ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে "জভাস ভিয়েদু!" উদ্যোগটি চালিয়ে যাওয়া, ভবিষ্যতের আয়োজকদের মেন্টরশিপ প্রদান করা এবং কার্যকরভাবে বিজ্ঞান প্রচারের জন্য মিডিয়ার সাথে যুক্ত থাকা তার পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত। এই ছাত্রটি তার সহপাঠীদের একাডেমিক শিক্ষার বাইরেও সুযোগগুলিকে গ্রহণ করতে, তাদের স্বাচ্ছন্দ্যের বলয় থেকে বেরিয়ে আসতে এবং স্বতন্ত্র হতে ভয় না পেতে উৎসাহিত করে।

ইউরোপীয় দক্ষিণ মানমন্দির (ESO) চিলিতে অবস্থিত, যা জ্যোতির্বিজ্ঞান গবেষণার জন্য একটি বিশ্বমানের কেন্দ্র। এটি জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং জ্যোতির্পদার্থবিদ্যা অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টার্নশিপ এবং ফেলোশিপের সুযোগ প্রদান করে, যা এই ছাত্রটির ভবিষ্যৎ লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। "জভাস ভিয়েদু!" (Zvaž Vědu!) উদ্যোগটি, যা ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তরুণদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী করে তোলার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। এটি শিক্ষার্থীদের তাদের আগ্রহের ক্ষেত্রগুলি অন্বেষণ করতে এবং সমমনা ব্যক্তিদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে সহায়তা করে, যা এই ছাত্রটির কর্মজীবনের লক্ষ্যের সাথেও সঙ্গতিপূর্ণ।

উৎসসমূহ

  • iROZHLAS

  • Středoškolák roku

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।