পর্তুগাল তার অভিবাসন নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সম্মুখীন হচ্ছে, যা বিদেশী বাসিন্দাদের প্রভাবিত করছে। দেশটি প্রায় ৩৪,০০০ অভিবাসীকে বহিষ্কার করতে প্রস্তুত, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্রাজিলিয়ান রয়েছে। এই পরিবর্তনের ফলে পর্তুগালে আন্তর্জাতিক ছাত্র এবং বাসিন্দাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। পর্তুগিজ সরকারের এই সিদ্ধান্ত গত এক দশকে অভিবাসন বৃদ্ধির পরে এসেছে। মন্ত্রী আন্তোনিও লেইটাও আমারো গণ অভিবাসনকে "কয়েক দশকের চ্যালেঞ্জ" হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অভিবাসীর সংখ্যা চারগুণ বেড়েছে, যা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। এজেন্সি ফর ইন্টিগ্রেশন, মাইগ্রেশন অ্যান্ড অ্যাসাইলাম (AIMA) সক্রিয়ভাবে সেই অভিবাসীদের অবহিত করছে যাদের বসবাসের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। এই পদক্ষেপটি সরকারের বৃহত্তর অভিবাসন কর্ম পরিকল্পনার অংশ। এই পরিকল্পনার লক্ষ্য হল পর্তুগালের পূর্বেকার উন্মুক্ত অভিবাসন নীতি সম্পর্কে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমালোচনা মোকাবেলা করা। নীতি পরিবর্তনের কারণে বসবাসের আবেদনের প্রত্যাখ্যানের হার ১৮.৫% হয়েছে। এই পরিবর্তনগুলি মূলত এশিয়ার অভিবাসীদের প্রভাবিত করে। পরিস্থিতি বিকশিত হচ্ছে, এবং ভবিষ্যতে আরও নীতি পরিবর্তন হতে পারে। সরকারের পদক্ষেপ পর্তুগালের জনসংখ্যাগত দৃশ্যপটকে নতুন আকার দিতে পারে। অর্থনীতি ও সমাজের উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব এখনও দেখার বাকি আছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা আগামী মাসগুলোতে পর্তুগালের অভিবাসন পদ্ধতির উপর কড়া নজর রাখবেন।
পর্তুগালের অভিবাসন নীতি পরিবর্তন: ২০২৫ সালে বিদেশী বাসিন্দাদের উপর প্রভাব
সম্পাদনা করেছেন: Tetiana Pinchuk Pinchuk
উৎসসমূহ
Terra
এই বিষয়ে আরও খবর পড়ুন:
আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?
আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।