জুলাই 2025-এ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে, যেখানে প্রায় 1,300 জনের বেশি কর্মচারী চাকরি হারিয়েছেন। এই পদক্ষেপটি বৃহত্তর পুনর্গঠনের অংশ, যা আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের এই পুনর্গঠন গোয়েন্দা তথ্য এবং চীনের সঙ্গে কৌশলগত প্রতিযোগিতার মতো ক্ষেত্রগুলির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা সহ বেশ কয়েকটি অফিসের বিলুপ্তিও এর অন্তর্ভুক্ত।
প্রশাসন বৈদেশিক সহায়তা তহবিলে উল্লেখযোগ্য বাজেট কমানোর প্রস্তাব করেছে। সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিও বলেছেন, এই পুনর্গঠনের ফলে দপ্তরটি "আরও দক্ষ এবং আরও বেশি মনোযোগ কেন্দ্রীভূত" হবে। তিনি আরও বলেন যে কিছু ছাঁটাইয়ের ফলে পদ বিলুপ্ত হবে, তবে কর্মীরা নয়।
সমালোচকরা এই পদক্ষেপের বৈধতা এবং সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আমেরিকান ফেডারেশন অফ গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ (AFGE) ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে।
কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিসের মতে, পররাষ্ট্র দপ্তরের পুনর্গঠন কার্যক্রম স্থিতিশীল হতে প্রায় ৬-১২ মাস সময় নেয়। পিউ রিসার্চ সেন্টারের 2024 সালের সমীক্ষায় দেখা গেছে যে 68% আমেরিকান মনে করেন বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব হ্রাস পাচ্ছে।
এই পুনর্গঠনের ফলে বিশ্ব নেতৃত্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চাদপসরণ এবং পররাষ্ট্রনীতির অগ্রাধিকারের পরিবর্তন হতে পারে।
2026 সালের বাজেটে উন্নয়ন সহায়তা এবং অর্থনৈতিক সহায়তা তহবিলের জন্য প্রায় $7.5 বিলিয়ন ডলার কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক ব্যুরোর বাজেট ৯৩% কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, যা $741 মিলিয়ন থেকে কমিয়ে $50 মিলিয়ন করা হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এই পুনর্গঠন এবং বাজেট কাটগুলি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।