ইরানে তীব্র জল সংকট দেখা দিয়েছে, যা দেশটির জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছরের পর বছর ধরে কম বৃষ্টিপাত, দুর্বল জল ব্যবস্থাপনা এবং জল সম্পদের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান সম্প্রতি সতর্ক করেছেন,Tehran-এর জল সরবরাহ সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে শেষ হয়ে যেতে পারে যদি জলের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা না যায়।
সংকটের কারণ:
বৃষ্টিপাতের অভাব: দীর্ঘ দিন ধরে বৃষ্টি কম হওয়ায় জলাধারগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে।
অপরিকল্পিত জল ব্যবহার: কৃষিকাজে অতিরিক্ত জল ব্যবহার এবং পুরনো সেচ ব্যবস্থার কারণে জলের অপচয় হচ্ছে।
ভূগর্ভস্থ জলের অতিরিক্ত উত্তোলন: ভূগর্ভস্থ জলের স্তর দ্রুত নিচে নেমে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।
পুরোনো অবকাঠামো: পুরনো ও ত্রুটিপূর্ণ পাইপলাইনের কারণে প্রচুর জল নষ্ট হচ্ছে।
পরিস্থিতির ভয়াবহতা:
Tehran এর পাঁচটি প্রধান বাঁধের জলাধারগুলোর মধ্যে তিনটির জলস্তর বিপজ্জনকভাবে কমে গেছে।
অনেক অঞ্চলে জল সরবরাহ কমে যাওয়ায় দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
ভূগর্ভস্থ জলের স্তর কমে যাওয়ায় বাড়ছে ভূমিধসের ঝুঁকি।
সরকারের পদক্ষেপ:
জলের ব্যবহার কমাতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো সরকারি অফিস বন্ধ রাখা।
মানুষকে জল ব্যবহারে সচেতন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বৃষ্টির জল সংরক্ষণে উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ না নিলে ইরানের এই জল সংকট আরও গভীর হতে পারে, যা পরিবেশ, অর্থনীতি ও সামাজিক জীবনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।