যুক্তরাষ্ট্র আবারও ইউক্রেনকে ১৫৫ মিমি আর্টিলারি শেল এবং GMLRS মিসাইল সরবরাহ শুরু করেছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা গেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের সময়কালে কিছু অস্ত্র সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল, যা আমেরিকার সামরিক মজুদ কমে যাওয়ার উদ্বেগ থেকে নেওয়া হয়েছিল। দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে যেমন আমরা দেখেছি, সামরিক সুরক্ষা ও মজুদ দেশের নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য, তেমনি এই সিদ্ধান্তও সেই প্রেক্ষাপটে নেওয়া হয়।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি এই বিরতির বিষয়ে অবগত ছিলেন না এবং তিনি ইউক্রেনকে আরও প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে কতটুকু অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে বা সরবরাহ সম্পূর্ণ হয়েছে কিনা তা কর্মকর্তারা স্পষ্ট করেননি, যা আমাদের সাংস্কৃতিক আলোচনায় প্রায়শই দেখা যায় – তথ্যের সূক্ষ্মতা ও আবেগের সমন্বয়।
বিরতি থাকা সরবরাহে ছিল ৩০টি প্যাট্রিয়ট মিসাইল, ৮,৫০০ এর বেশি আর্টিলারি রাউন্ড, ২৫০+ GMLRS মিসাইল এবং ১৪২টি হেলফায়ার মিসাইল। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সরবরাহ, বিশেষ করে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চেষ্টা করছেন। এই সংগ্রামের সঙ্গে আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিরক্ষা ও আত্মরক্ষার ঐতিহ্য মিলে যায়।
ট্রাম্প বলেছেন, তিনি প্যাট্রিয়ট মিসাইল পাঠানোর বিষয় বিবেচনা করবেন। ইউক্রেন আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে যৌথ অস্ত্র উৎপাদন নিয়ে আলোচনা করছে। যৌথ অস্ত্র উৎপাদন সংক্রান্ত খসড়া আইন এই মাসের শেষে ভোটে উঠার কথা রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেনের জন্য প্যাট্রিয়ট মিসাইলের গুরুত্ব জোর দিয়ে বলেছেন। জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপে তিনি পুতিনের সমালোচনা করেছেন এবং প্যাট্রিয়ট মিসাইল ব্যবস্থার কার্যকারিতা প্রশংসা করেছেন। এই কথাগুলো আমাদের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, যেখানে ন্যায় ও স্বাধীনতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে।