প্রতিরক্ষা বিভাগ এখন 'যুদ্ধ বিভাগ': মার্কিন প্রেসিডেন্টের নতুন নির্বাহী আদেশ
সম্পাদনা করেছেন: Tatyana Hurynovich
৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫-এ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগকে আনুষ্ঠানিকভাবে 'যুদ্ধ বিভাগ' (Department of War) হিসেবে পুনঃনামকরণ করেছেন। এই পরিবর্তনটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী ও আগ্রাসী অবস্থান প্রদর্শনের লক্ষ্যে করা হয়েছে।
এই নতুন নির্বাহী আদেশের অধীনে, 'যুদ্ধ সচিব' (Secretary of War) এর মতো পদবি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ ইতিমধ্যেই জনসমক্ষে নিজেকে এই পদবিতে অভিহিত করা শুরু করেছেন। ঐতিহাসিকভাবে, যুদ্ধ বিভাগ ১৭৮৯ সাল থেকে ১৯০৭ সাল পর্যন্ত কার্যকর ছিল। পরবর্তীতে, ১৯০৭ সালে এটি প্রতিরক্ষা বিভাগ হিসেবে পুনর্গঠিত হয়, যা ১৯৪৯ সালে বর্তমান 'প্রতিরক্ষা বিভাগ' নামে পরিচিতি লাভ করে। এই পুনঃনামকরণ ট্রাম্প প্রশাসনের একটি বৃহত্তর উদ্যোগের অংশ, যার মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী নাম ও প্রতীক ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
এর আগে ২০২৫ সালের প্রথম দিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প "আমেরিকার গৌরব পুনরুদ্ধারকারী নামসমূহ" (Restoring Names That Honor American Greatness) শীর্ষক নির্বাহী আদেশ ১৪১৭২ স্বাক্ষর করেন, যার মাধ্যমে ডেনালির সরকারি নাম 'মাউন্ট ম্যাককিনলি' পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে 'গালফ অফ আমেরিকা' রাখা হয়।
সমালোচকদের মতে, এই পুনঃনামকরণের ফলে বিশ্বজুড়ে সামরিক স্থাপনাগুলিতে সাইনবোর্ড ও অন্যান্য সামগ্রী পরিবর্তনের জন্য উল্লেখযোগ্য ব্যয় হতে পারে। এছাড়াও, প্রতিরক্ষা বিভাগ যেহেতু আইনসভার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তাই এই নাম পরিবর্তন স্থায়ী করার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে, সমর্থকরা মনে করেন যে নতুন নামটি বিভাগের উদ্দেশ্যকে আরও স্পষ্টভাবে তুলে ধরবে এবং প্রয়োজনে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুতিকেই নির্দেশ করবে। প্রশাসন আত্মবিশ্বাসী যে, যদি কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়, তবে তারা এই পরিবর্তনকে সমর্থন করবে।
৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ থেকে, নির্বাহী আদেশটি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা প্রতিরক্ষা বিভাগের যুদ্ধ বিভাগে রূপান্তরের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছে। এই পদক্ষেপটি মার্কিন সামরিক বাহিনীর পরিচয় এবং বিশ্ব মঞ্চে এর অবস্থানকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উৎসসমূহ
HuffPost UK
Reuters
Associated Press
Financial Times
এই বিষয়ে আরও খবর পড়ুন:
আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?
আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।
