আগামী আগস্ট ১৫, ২০২৫-এ আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে একটি শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, যেখানে ইউক্রেন শান্তি চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এই তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে, ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনের প্রতি তাদের সমর্থন আরও জোরদার করছেন। আলোচনার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভোলodymyr জেলেনস্কিকে পুতিনের সাথে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা বিবেচনা করছেন, যাতে সংঘাত নিরসনের আলোচনায় ইউক্রেনের কণ্ঠস্বর যেন শোনা যায় তা নিশ্চিত করা যায়। তবে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জোর দিয়েছেন যে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক উন্নত করা প্রয়োজন। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রাশিয়ার কাছে কোনো আঞ্চলিক ছাড় দেওয়ার সম্ভাবনা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন, বলেছেন যে ইউক্রেনের সীমান্ত সাংবিধানিকভাবে নির্ধারিত এবং এটি কোনোভাবেই আলোচনার বিষয় নয়। তিনি সতর্ক করেছেন যে ইউক্রেনের অংশগ্রহণ ছাড়া নেওয়া যেকোনো সিদ্ধান্ত "শান্তির বিরুদ্ধে একটি সিদ্ধান্ত" হবে এবং শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হতে বাধ্য।
ইউরোপীয় মিত্ররা ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ইউরোপীয় কমিশন, ফ্রান্স, ইতালি, যুক্তরাজ্য, পোল্যান্ড এবং ফিনল্যান্ডের প্রতিনিধিদের একটি যৌথ বিবৃতিতে জোর দেওয়া হয়েছে যে ইউক্রেনের সীমান্ত বলপ্রয়োগ করে পরিবর্তন করা উচিত নয়। তারা শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনের অপরিহার্য ভূমিকার উপরও আলোকপাত করেছেন। আলাস্কায় আসন্ন ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ সম্মেলন ইউক্রেনের সংঘাত অবসানের আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। প্রত্যাশিত আলোচনা এই অঞ্চলের এবং বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৫ সালের প্রথম দিকে, ইউক্রেনের জিডিপি প্রায় ৩০% হ্রাস পেয়েছে, যা দেশটির অবকাঠামো এবং জনজীবনে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এই পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে অব্যাহত সমর্থন ইউক্রেনের পুনর্গঠন এবং স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো ইউক্রেনকে আর্থিক সহায়তা এবং মানবিক সাহায্য প্রদানের জন্য নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যা এই সংকট মোকাবেলায় তাদের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন।