আগস্ট ১১, ২০২৫ তারিখে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন যে সোনার আমদানি মার্কিন শুল্কের আওতায় আসবে না। তিনি ঘোষণা করেন, "সোনা শুল্কযুক্ত হবে না!" এই ঘোষণাটি সুইস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (CBP)-এর একটি সাম্প্রতিক রায়ের পর আসে, যেখানে সুইজারল্যান্ড থেকে নির্দিষ্ট সোনার বার আমদানির উপর সম্ভাব্য শুল্ক আরোপের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক CBP রায়ের ফলে সোনার বাজারে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়, যা মার্কিন সোনার ফিউচার্সের দামে সাময়িক বৃদ্ধি ঘটায়। বাজারের এই অস্থিরতা সুইজারল্যান্ডের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, যারা বিশ্বের প্রায় ৭০% সোনা পরিশোধন করে। এই পরিস্থিতিতে, হোয়াইট হাউস সোনার বুলিয়ন শুল্ক সংক্রান্ত "ভুল তথ্য" মোকাবেলার জন্য একটি নির্বাহী আদেশ জারির পরিকল্পনা করে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্পষ্ট ঘোষণার পর, সোনার ফিউচার্স ২.৪% হ্রাস পেয়ে প্রতি আউন্স ৩,৪০৭ ডলারে স্থির হয়। বিশ্বব্যাপী স্পট গোল্ডও ১.২% কমে ৩,৩৫৭ ডলারে নেমে আসে। এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতির উপর বাজারের অস্থিরতা এবং অনিশ্চয়তার প্রভাবকে তুলে ধরে। এই ওঠানামার পরেও, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সোনার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব বজায় রয়েছে। অনেকে এই নীতিগত পরিবর্তনগুলিকে ভবিষ্যতের দাম বৃদ্ধির চালিকাশক্তি হিসেবে দেখছেন। তবে, অন্যান্য সোনা-রপ্তানিকারক দেশগুলির কাছ থেকে সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক শুল্কের বিষয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে। কিছু পরিশোধক সংস্থা বাণিজ্য নীতির আরও স্পষ্টীকরণের অপেক্ষায় তাদের চালান স্থগিত রেখেছে। এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতির অপ্রত্যাশিত পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট বৃহত্তর বাজার অস্থিরতাকে স্পষ্ট করে। আগস্ট ১১, ২০২৫ পর্যন্ত, SPDR Gold Shares ETF (GLD) ৩০৮.৫৫ ডলারে লেনদেন হচ্ছিল, যা পূর্ববর্তী বন্ধের দামের তুলনায় ১.৪৩% হ্রাস নির্দেশ করে। এই ঘটনাটি দেখায় যে কীভাবে সরকারি নীতিগুলির দ্রুত পরিবর্তনগুলি বিশ্বব্যাপী আর্থিক বাজারকে প্রভাবিত করতে পারে, যা বিনিয়োগকারী এবং আন্তর্জাতিক সরকারগুলির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।