বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বেড়েছে, যা সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগের কারণ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, অপরিশোধিত তেলের মজুদ বৃদ্ধি এবং ইরানের উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের মতো বিষয়গুলি প্রভাব ফেলেছে।
কারণসমূহ
রাশিয়ান তেল ক্রেতাদের উপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ান তেল ক্রেতাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন, যা তেলের দাম বাড়িয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের নিষেধাজ্ঞা: ইরানের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ও সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, যা ইরান থেকে তেল সরবরাহকে প্রভাবিত করতে পারে।
দাম বৃদ্ধি
ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ব্যারেল প্রতি $৭৩.৫১ ডলারে এবং ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের দাম ব্যারেল প্রতি $৭০.৩৭ ডলারে পৌঁছেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের তেলের মজুদ
এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ) অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের মজুদ ৪২৬.৭ মিলিয়ন ব্যারেলে দাঁড়িয়েছে। গ্যাসোলিনের মজুদ কমে ২২৮.৪ মিলিয়ন ব্যারেলে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্ব অর্থনীতির উপর প্রভাব
তেলের দাম বৃদ্ধি বিশ্ব অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর প্রভাব ফেলতে পারে। JP Morgan-এর মতে, ২০২৫ সালে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেল প্রতি $৬৬ ডলারে পৌঁছাতে পারে।
চীনের ভূমিকা
চীন রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে, এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি চীনকে রাশিয়ান তেল কেনার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে সতর্ক করেছেন।
এই পরিস্থিতিতে, তেলের দামের উপর বিভিন্ন ভূ-রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক কারণের প্রভাব বাজারের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণ করবে।