ইউনেস্কো (UNESCO) বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় নতুন স্থান যুক্ত হয়েছে, যা আমাদের সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির ৪৭তম অধিবেশনে নতুন ২৬টি স্থানকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই স্থানগুলি জার্মানির দুর্গ, ডেনমার্কের সমুদ্র-খাড়া এবং মানুষের তৈরি গ্রীষ্মমন্ডলীয় বন সহ বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক, প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় বর্তমানে ১৬৮টি দেশের ১,২৪৮টি স্থান রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল জার্মানির বাভারিয়ার নিউশভাইনস্টাইন, লিন্ডারহফ, শ্যাখেন এবং হেরেনচিমসি-এর মতো দুর্গগুলি, যা কিং লুডভিগ দ্বিতীয়ের আমলে নির্মিত হয়েছিল। ফ্রান্সের কার্নাক মেনহির সংগ্রহ, যা বিশ্বের বৃহত্তম মেনহিরের স্থান, এখানে ৩,০০০টিরও বেশি পাথর রয়েছে। ডেনমার্কের মন্স ক্লিন্ট-এর চক-পাথরের সমুদ্র-খাড়া, যেখানে একটি ভূগর্ভস্থ জাদুঘর এবং বিভিন্ন জীববৈচিত্র্য বিদ্যমান, সেটিও এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত।
আফ্রিকার দুটি অসাধারণ প্রাকৃতিক এলাকা, মোজাম্বিকের একটি সংরক্ষিত এলাকা এবং সিয়েরা লিওনের বনগুলিও স্বীকৃতি পেয়েছে, যেখানে ৬,৫০০-এর বেশি উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতি রয়েছে। এই তালিকায় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আধ্যাত্মিক তাৎপর্যপূর্ণ অস্ট্রেলিয়ার একটি অঞ্চল এবং মালয়েশিয়ার মানুষের তৈরি গ্রীষ্মমন্ডলীয় বনও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকা আমাদের বিশ্বকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করে, যা বিভিন্ন সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সহায়ক। এই তালিকা আমাদের সকলের জন্য একটি অমূল্য সম্পদ, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করা অপরিহার্য।