বিশ্ব মানব পাচার বিরোধী দিবসে, কিউবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রদ্রিগেজ পারিলা মানব পাচার প্রতিরোধের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন [১]।
তিনি রাষ্ট্র এবং নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলির মধ্যে প্রতিরোধ এবং সহযোগিতার উপর চলমান প্রচেষ্টা তুলে ধরেন। কিউবার এই পদক্ষেপগুলি মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাদের দৃঢ় প্রতিজ্ঞার প্রতিফলন [১]।
২০২৪ সালের অক্টোবর মাসের একটি জাতীয় প্রতিবেদনে ইন্টারপোল এবং জাতিসংঘের ব্যবস্থার মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সাথে কিউবার সহযোগিতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে [১]। মানব পাচারের সাথে সম্পর্কিত ১৪টি মামলার বিচার করা হয়েছিল, যেখানে ১৪ জন ভুক্তভোগীকে চিহ্নিত করা হয়েছিল, যাদের সবাই ছিল নাবালক। অপরাধীদের জন্য ৩ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের শাস্তি ছিল [১]।
ফেব্রুয়ারী ২০২৫-এ, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জোরপূর্বক শ্রম প্রোগ্রামে জড়িত কিউবান কর্মকর্তা এবং বিদেশিদের উপর ভিসা বিধিনিষেধ ঘোষণা করেন [১]। এই পদক্ষেপটি কিউবার কর্মীদের অধিকার রক্ষার একটি প্রচেষ্টা।
কিউবা মানব পাচার প্রতিরোধের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াচ্ছে। উন্নত ডেটা বিশ্লেষণ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা ব্যবহার করে মানব পাচারের সম্ভাব্য ঘটনাগুলি দ্রুত সনাক্ত করা এবং আরও কার্যকরভাবে হস্তক্ষেপ করা সম্ভব হচ্ছে [১]।
কিউবা অন্যান্য দেশগুলির সাথে তথ্য আদান-প্রদান এবং প্রতিরোধের কার্যক্রম সমন্বিত করতে সহযোগিতা জোরদার করছে [১]। কিউবার এই সামগ্রিক পদ্ধতি প্রতিরোধ, শাস্তি এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকে একত্রিত করে, যা মানব পাচারকে মোকাবেলা করার ইচ্ছাকে তুলে ধরে [১]।
জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, কিউবা মানব পাচার প্রতিরোধের জন্য উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে, তবে এখনও কিছু ক্ষেত্রে উন্নতির প্রয়োজন [১]। কিউবা ক্রমাগতভাবে তাদের আইন ও নীতি উন্নত করছে এবং ভুক্তভোগীদের সহায়তা প্রদানকারী বেসরকারি সংস্থাগুলির জন্য অর্থায়ন বৃদ্ধি করছে [১]।