ভারতে দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে: একটি সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সাফল্যের গল্প

সম্পাদনা করেছেন: Татьяна Гуринович

ভারত সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে সক্ষম হয়েছে। গিনি সূচক বর্তমানে ২৫.৫, যা ২০১১ সালের ২৮.৮ থেকে সুস্পষ্ট উন্নতি নির্দেশ করে।

এটি ভারতকে চতুর্থ স্থানে নিয়ে এসেছে, যেখানে প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে স্লোভাকিয়া (২৪.১), স্লোভেনিয়া (২৪.৩), এবং বেলারুশ (২৪.৪), যখন চীনের গিনি স্কোর ৩৫.৭ এবং আমেরিকার ৪১.৮।

গিনি সূচক একটি দেশের আয় বা সম্পদের বণ্টন পরিমাপ করে, যেখানে ০ সম্পূর্ণ সমতা এবং ১০০ সর্বোচ্চ অসমতার প্রতীক। দারিদ্র্যের এই হ্রাস মূলত চরম দারিদ্র্যের ব্যাপক পতনের কারণে সম্ভব হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১-১২ সালে ১৬.২% মানুষ চরম দারিদ্র্যে জীবনযাপন করতেন, যা ২০২২-২৩ সালে কমে ২.৩% হয়েছে। এই সময়ে ১৭১ মিলিয়ন মানুষ দারিদ্র্যের জাল থেকে মুক্তি পেয়েছে।

গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্যের হার ১৮.৪% থেকে কমে ২.৮% হয়েছে, এবং শহুরে এলাকায় ১০.৭% থেকে ১.১% এ নেমে এসেছে। এর ফলে গ্রামীণ-শহুরে দারিদ্র্যের ফারাক ৭.৭% থেকে কমে ১.৭% হয়েছে, যা সামাজিক সমতার উন্নতি নির্দেশ করে।

এই সাফল্যের পেছনে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ যেমন প্রধানমন্ত্রীর জন ধন যোজনা, সরাসরি সুবিধা স্থানান্তর, এবং স্ট্যান্ড-আপ ইন্ডিয়া মত প্রকল্প রয়েছে, যা আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং সামাজিক নিরাপত্তা বাড়িয়েছে।

এই অর্জন ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক সমতার প্রতি অঙ্গীকারকে প্রদর্শন করে, যা দেশের মধ্যে বৃহত্তর সমৃদ্ধি ও অন্তর্ভুক্তির পথ প্রশস্ত করছে। এই গল্প আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত এবং আমাদের সকলের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।

উৎসসমূহ

  • India TV Hindi

  • Navbharat Times

  • Business Standard

  • Dainik Bhaskar

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।