কাতারের দোহায় ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো (ডিআরসি) এবং এম২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠী পূর্ব কঙ্গোর চলমান সংঘাতের অবসান ঘটাতে একটি নীতি ঘোষণা স্বাক্ষর করেছে।
এই চুক্তির মাধ্যমে উভয় পক্ষই অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
চুক্তির মধ্যে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং রাষ্ট্রের ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াগুলিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তবে, বন্দী মুক্তি এবং সৈন্য প্রত্যাহার সহ প্রধান কিছু বিষয় এখনো অমীমাংসিত রয়েছে।
স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে অবিশ্বাস, ভীতি এবং উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
জাতিসংঘের একটি সমীক্ষা অনুসারে, কঙ্গোর সংঘাতে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৬ মিলিয়ন, যা মানসিক স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।
এই চুক্তির মাধ্যমে শান্তি ফিরে আসলে, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের সুযোগ তৈরি হবে।
তবে, শান্তি প্রক্রিয়া সফল করতে হলে, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসন এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবার উপর গুরুত্ব দিতে হবে।
স্থানীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়ে, সামাজিক সংহতি পুনরুদ্ধার করা অপরিহার্য।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি টেকসই শান্তি চুক্তির জন্য চাপ দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই শান্তি চুক্তি নিয়ে সতর্কভাবে আশাবাদী।
কঙ্গোর জনগণের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হলে, এই চুক্তির সফল বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি।
শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি, সংঘাতের কারণগুলো চিহ্নিত করে, তা সমাধানে কাজ করতে হবে।
মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সংঘাতের শিকার ব্যক্তিদের জন্য কাউন্সেলিং এবং থেরাপির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন, যাতে তারা তাদের ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পারে এবং সমাজে পুনরায় একত্রিত হতে পারে।