কম্বোডিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী সান চানথোল আগস্ট ২০২৫-এ ঘোষণা করেন যে কম্বোডিয়া প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করবে । থাইল্যান্ডের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত নিরসনে ট্রাম্পের ভূমিকার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ।
জুলাই মাসের শেষের দিকে, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ শুরু হয়, যাতে উভয় দেশের কমপক্ষে ৪৩ জন নিহত হয় এবং ৩০০,০০০ এর বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয় । মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতায় ২৮ জুলাই, ২০২৫ তারিখে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ।
উপ-প্রধানমন্ত্রী সান চানথোল জানান, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরাসরি হস্তক্ষেপে এই অচলাবস্থা ভেঙে যায় । তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্পের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং তাঁকে এই পুরস্কারের যোগ্য মনে করেন । চানথোল আরও জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কম্বোডিয়ার পোশাক ও জুতা রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক হার ৪৯% থেকে কমিয়ে ১৯%-এ নামানো সম্ভব হয়েছে, যা দেশটির অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক্সে (পূর্বে টুইটার) পোস্টে বলেন, এই শান্তি ট্রাম্পের কারণেই সম্ভব হয়েছে ।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভল্কার তুর্ক উভয় পক্ষকে দ্রুত চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায়, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সীমান্ত বিরোধের মূল কারণ হলো দীর্ঘদিনের আঞ্চলিক বিবাদ ।
বেইজিং জানিয়েছে, চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইডংয়ের নেতৃত্বে থাই ও কম্বোডিয়ান কর্মকর্তাদের বৈঠকে দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ।