আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান ২০২৫ সালের ১৬ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের পররাষ্ট্রনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ঘোষণা দেন। এই পরিবর্তনের মূল লক্ষ্য হলো আর্মেনিয়ার আন্তর্জাতিক সম্পর্কের পুনর্বিবেচনা এবং দেশের সার্বভৌমত্বকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করা।
আর্মেনিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে ২০২৫ সালের ৪ এপ্রিল একটি আইন পাস করে, যা ইইউতে যোগদানের প্রক্রিয়া শুরু করার আইনি ভিত্তি স্থাপন করে। প্রধানমন্ত্রী পাশিনিয়ান এই পদক্ষেপকে দেশের পররাষ্ট্রনীতির ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে উল্লেখ করেন।
এছাড়া, আর্মেনিয়া ২০২৫ সালের ১৬ জুলাই সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনে (এসসিও) পূর্ণ সদস্যপদে যোগদানের জন্য আবেদন করে, যা তাদের বৈদেশিক নীতির ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।
আর্মেনিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ২০২৫ সালের ১৪ জানুয়ারি একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করে, যা প্রতিরক্ষা, অর্থনীতি, গণতান্ত্রিক সংস্কার, শক্তি, প্রযুক্তি এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্কের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করবে।
এই পদক্ষেপগুলো আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্রনীতির বৈচিত্র্যকরণের প্রমাণ, যা দেশটি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করছে।