ডব্লিউএইচও প্রতিবেদন: একাকীত্ব সংকট ও বৈশ্বিক প্রভাব

সম্পাদনা করেছেন: Татьяна Гуринович

জেনেভা, ৩০ জুন ২০২৫ - বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যা একাকীত্ব ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতার বৈশ্বিক সংকটকে সামনে নিয়ে এসেছে।

প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে যে, বিশ্বজুড়ে প্রতি ছয় জন মানুষের মধ্যে একজন একাকীত্ব অনুভব করেন, যা প্রায় ৮৭১,০০০ জন মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায় প্রতি বছর। একাকীত্ব সকল বয়সের মানুষকে প্রভাবিত করে, বৃদ্ধদের এক তৃতীয়াংশ এবং কিশোরদের এক চতুর্থাংশ এই সমস্যায় আক্রান্ত।

এই সংকট মোকাবিলায়, ডব্লিউএইচও ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক সামাজিক সংযোগ কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছে, যার নেতৃত্বে আছেন ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক তেদরোস আধানম ঘেব্রেয়েসুস, প্রাক্তন মার্কিন সার্জন জেনারেল বিবেক মুরথি এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন যুব দূত চিদো এমপেম্বা, সাথে আরও ১১ জন বিশেষজ্ঞ।

কমিশন সামাজিক সংযোগকে প্রধান সমাধান হিসেবে তুলে ধরেছে, সচেতনতা বৃদ্ধি কর্মসূচি, সামাজিক মেলামেশার জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে।

সুইডেনকে ইতিবাচক উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যারা একাকীত্বের বিরুদ্ধে জাতীয় কৌশল গ্রহণ করেছে। দেশটি বিভিন্ন পরিবেশে সামাজিক সংযোগ প্রচার করছে এবং ভার্চুয়াল হয়রানি কমাতে ও সামাজিক মেলামেশা বাড়াতে সরকারি স্কুলে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করছে।

ডব্লিউএইচও ব্যক্তিগত মেলামেশার স্থান সৃষ্টি করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে, কারণ মানব যোগাযোগ শব্দের বাইরে মুখাবয়ব, দেহভাষা ও কণ্ঠস্বরের ছোঁয়া বহন করে, যা শুধুমাত্র প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করলে হারিয়ে যায়।

উপসংহারে, ২০২৫ সালে একাকীত্ব ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতা একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য হুমকি হিসেবে দাঁড়িয়েছে। ডব্লিউএইচও আন্তর্জাতিক সামাজিক সংযোগ কমিশনের মাধ্যমে সামাজিক বন্ধন প্রচার ও শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের নেতিবাচক প্রভাব কমানোর কাজ করছে, যা আমাদের দক্ষিণ এশীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত, যেখানে মানবিক সম্পর্ক ও সামাজিক বন্ধনকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।

উৎসসমূহ

  • Correio do povo

  • Deutsche Welle

  • Agência Brasil

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।