অগাস্ট ২০২৪ থেকে, কুয়েত ৩৭,০০০-এর বেশি মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অধিকাংশই অভিবাসী মহিলা যারা বিবাহের মাধ্যমে নাগরিকত্ব অর্জন করেছেন। এই পদক্ষেপ মানবাধিকার গোষ্ঠী থেকে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
এই বাতিলকরণ আমির শেখ মিশাল আল-আহমদ আল-সাবাহের "সংস্কার উদ্যোগ"-এর অংশ, যিনি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। তাঁর লক্ষ্য হল "কুয়েতকে অপবিত্রতা থেকে পরিষ্কার করা" এবং নাগরিকত্বকে তাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাদের বংশগত সম্পর্ক রয়েছে। কমপক্ষে ২৬,০০০ মহিলা যারা বিবাহের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেয়েছেন, তারা নতুন নীতির অধীনে এটি হারিয়েছেন।
আইনটি ১৯৮৭ সাল থেকে বিদেশী জীবনসঙ্গীদের দেওয়া নাগরিকত্ব বাতিল করে, যা সম্ভাব্য রাষ্ট্রহীনতার দিকে পরিচালিত করতে পারে। এমনকি পপ গায়িকা নাওয়াল আল কুয়েতিয়া এবং অভিনেতা দাউদ হুসেনের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও এতে প্রভাবিত হয়েছেন। সমালোচকরা সতর্ক করেছেন যে এই বৈষম্যমূলক নীতি সামাজিক বিভাজনকে আরও গভীর করতে পারে এবং কুয়েতের সুনামকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।