ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে উভয় দেশ যৌথভাবে ড্রোন উৎপাদন ও সামরিক প্রযুক্তির বিনিময়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে, যা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
চুক্তির আওতায়, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন থেকে ড্রোন কিনবে, যা রাশিয়ার অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। বিনিময়ে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ভারী অস্ত্র সরবরাহ করবে। উভয় দেশ যৌথভাবে ড্রোন তৈরির কাজ করবে, যা তাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে আরও গভীর করবে।
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, ড্রোন প্রযুক্তি যুদ্ধের পদ্ধতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। ইউক্রেনীয় কোম্পানি সুইফট বিটের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যার মাধ্যমে তারা বিভিন্ন ধরনের ড্রোন তৈরি করবে, যার মধ্যে ইন্টারসেপ্টর, অনুসন্ধানকারী কোয়াডকপ্টার এবং আক্রমণকারী ড্রোন অন্তর্ভুক্ত।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ড্রোন ব্যবহারের ফলে সামরিক ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (SIPRI) তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সামরিক ড্রোন খাতে ব্যয় প্রায় ১৫% বেড়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে, ইউক্রেন অত্যাধুনিক ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে পারবে। এটি কেবল একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি নয়, বরং আধুনিক যুদ্ধের গতিপ্রকৃতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন।
এই চুক্তির মাধ্যমে, ইউক্রেন প্রযুক্তিগত দিক থেকেও আরও শক্তিশালী হবে এবং সামরিক ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।