সিরিয়ায় সংসদীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি: নতুন রাজনৈতিক পদক্ষেপ

সম্পাদনা করেছেন: gaya ❤️ one

সিরিয়ায় নতুন সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০২৫ সালের ১৫ থেকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। বাশার আল-আসাদের শাসনের পতনের পর এটিই প্রথম সংসদীয় নির্বাচন।

ডিসেম্বর ২০২৪-এ বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচন সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালনা করবে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন রাষ্ট্রপতি আহমেদ আল-শারা।

নির্বাচন কমিশনের প্রধান মোহাম্মদ তাহা আল-আহমদ জানান, সংসদে আসন সংখ্যা ১৫০ থেকে বাড়িয়ে ২১০ করা হবে। এই ২১০টি আসনের মধ্যে ১৪০ জন সদস্য জেলা-ভিত্তিক নির্বাচনী কলেজ পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন। স্থানীয় কমিটিগুলোর মাধ্যমে এই সংসদ সদস্যরা নির্বাচিত হবেন। বাকি ৭০ জন সংসদ সদস্যকে সরাসরি রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করবেন।

সরকার জানিয়েছে, নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের জন্য বিদেশি পর্যবেক্ষকদের অনুমতি দেওয়া হবে। এছাড়াও, জনসংখ্যার ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ করা হবে।

এই নির্বাচনটি সিরিয়ার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

নতুন সংসদ একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কাজ করবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি জাতীয় ঐক্যবদ্ধ সেনাবাহিনী গঠনেরও পরিকল্পনা করছে।

আহমেদ আল-শারা বলেন, সংস্কারের জন্য প্রজ্ঞা, পরিশ্রম ও দ্বিগুণ প্রচেষ্টার প্রয়োজন।

নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নারী প্রতিনিধিত্ব কমপক্ষে ২০% নিশ্চিত করা হবে।

মোহাম্মদ তাহা আল-আহমদ আরও জানান, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নাগরিক সমাজ এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে।

নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি এবং বিতর্কে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।

এই নির্বাচন সিরিয়ার জন্য একটি নতুন সুযোগ নিয়ে এসেছে, যেখানে জনগণ তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারবে।

উৎসসমূহ

  • Deutsche Welle

  • Reuters

  • AP News

  • Al Jazeera

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।