২০২৫ সালের ১১ই জুলাই, উত্তর ইরাকে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) তাদের অস্ত্র সমর্পণ প্রক্রিয়া শুরু করে, যা তুরস্কের সাথে তাদের দীর্ঘদিনের সশস্ত্র সংঘাতের সমাপ্তির দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই ঘটনাটি একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
পিকেকের এই পদক্ষেপের মূল কারণ হলো তাদের নেতা আবদুল্লাহ ওকালানের আহ্বান। ওকালান সশস্ত্র সংগ্রাম ত্যাগ করে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে অংশগ্রহণের জন্য দলটিকে উৎসাহিত করেন। এই পরিবর্তনের ফলে, পিকেকে-র সদস্যরা অস্ত্র ত্যাগ করতে রাজি হন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এই ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং একটি সন্ত্রাসমুক্ত তুরস্কের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। এই ঘটনার মাধ্যমে কুর্দি জনগণের অধিকার এবং তাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে পারে।
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তুরস্ক ও পিকেকের মধ্যে এই সংঘাত কয়েক দশক ধরে চলে আসছিল। এই সময়ে উভয় পক্ষেরই অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পিকেকের সশস্ত্র কার্যক্রমের ফলে তুরস্কের পূর্বাঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল, যা অর্থনীতি ও সামাজিক জীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলেছিল। এখন, নিরস্ত্রীকরণের মাধ্যমে উভয় পক্ষই শান্তি ও স্থিতিশীলতার দিকে অগ্রসর হতে চাইছে। এই প্রক্রিয়া সফল হলে, কুর্দি জনগণের জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যৎ তৈরি হবে, যেখানে তারা তাদের অধিকারগুলি শান্তিপূর্ণভাবে উপভোগ করতে পারবে।