জাতিসংঘের সদর দফতরে ফ্রান্স ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সম্মেলনের মূল বিষয় ছিল ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের বাস্তবায়ন।
বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীগণ এই সম্মেলনে অংশ নেন, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এই সম্মেলন বয়কট করে। আলোচনায় ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের সংস্কার, হামাসকে নিরস্ত্র করা এবং ইসরায়েলের সঙ্গে আরব রাষ্ট্রগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার মতো বিষয়গুলো প্রাধান্য পায়।
গাজায় মানবিক সহায়তা বিতরণের জন্য ইসরায়েল প্রতিদিন ১০ ঘণ্টার জন্য সামরিক অভিযান বিরতি ঘোষণা করে। তবে, সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে, প্রয়োজনের তুলনায় এই সহায়তা নিতান্তই অপ্রতুল। গাজায় খাদ্য, আশ্রয় ও চিকিৎসা সেবার জরুরি প্রয়োজন।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজার প্রায় ৮০% মানুষ জীবনধারণের জন্য মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। নিরাপদ পানীয় জলের অভাবে জলবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে, বিশেষত শিশুরা এতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
এই সম্মেলন ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছে। দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের মাধ্যমে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তৈরি করা সম্ভব, যেখানে সহযোগিতা ও সমঝোতার মাধ্যমে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা মনে করেন, গাজায় সাহায্য প্রবেশ না করার কোনো অজুহাত এখন আর নেই।