জার্মান মন্ত্রিসভা ২০২৬ সালের বাজেট অনুমোদন করেছে, যেখানে দেশের অর্থনীতি, অবকাঠামো এবং প্রতিরক্ষা খাতের আধুনিকীকরণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে ।
এই বাজেটে ৫২০.৫ বিলিয়ন ইউরোর বেশি ব্যয় এবং ১৭৪.৩ বিলিয়ন ইউরোর ঋণ গ্রহণের পরিকল্পনা করা হয়েছে । এই পদক্ষেপের মাধ্যমে জার্মানি কয়েক দশকের আর্থিক রক্ষণশীলতা থেকে সরে এসে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পুনরুদ্ধার এবং সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছে ।
প্রতিরক্ষা খাতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগের মধ্যে রয়েছে ২০২৬ সালে ৮২.৭ বিলিয়ন ইউরো । এছাড়াও ইউক্রেনের জন্য ৯ বিলিয়ন ইউরোর সহায়তা এবং ন্যাটোতে অবদান রাখার প্রতিশ্রুতিও রয়েছে, যা ২০২৬ সালে জিডিপির ২.৮%-এ পৌঁছাবে । ২০২৯ সাল নাগাদ প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বেড়ে ১৬২ বিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে ।
জার্মানির এই বাজেট দেশের অবকাঠামো আধুনিকীকরণ এবং অর্থনীতির বিকাশে সহায়ক হবে বলে আশা করা যাচ্ছে । বাজেটে ১২৬.৭ বিলিয়ন ইউরোর বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে, যা কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দেশের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে ।
জার্মানির প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে নতুন সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়। ২০টি ইউরোফাইটার জেট, ৩,০০০ পর্যন্ত Boxer আর্মার্ড ভেহিকেল এবং ৩,৫০০ Patria ইনফ্যান্ট্রি ফাইটিং ভেহিকেল কেনার পরিকল্পনা করা হয়েছে ।
জার্মানির এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী বার্তা দেয় যে তারা ইউরোপের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ।