ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে তেলের দাম এক মাসেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। ইসরাইলের বিমান হামলায় ইরানের স্থাপনাগুলো লক্ষ্যবস্তু হওয়ার পর ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এর ফলে আঞ্চলিক জ্বালানি অবকাঠামো এবং বৃহত্তর সংঘাতের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।
বিশ্বের আর্থিক বাজারে অস্থিরতা বেড়েছে। মার্কিন ডলার শক্তিশালী হয়েছে, যেখানে ভারতীয় রুপির অবমূল্যায়ন হয়েছে। ইক্যুইটি বাজারও এর প্রভাব অনুভব করেছে, যেখানে ডাউ জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ এবং এস&পি ৫০০-এর পতন হয়েছে।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র সামরিক হস্তক্ষেপের কথা বিবেচনা করছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সুরক্ষিত স্থানগুলোতে আঘাত হানতে একটি শক্তিশালী বোমা ব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছেন। আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ভিন্ন, রাশিয়া সম্ভাব্য অস্থিতিশীলতার বিষয়ে সতর্ক করেছে এবং ইউরোপীয় দেশগুলো কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে কথা বলছে।
সংঘাত হরমুজ প্রণালী, একটি গুরুত্বপূর্ণ তেল পরিবহন রুটের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। ইরান প্রণালীটি বন্ধ করার হুমকি দিয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহকে ব্যাহত করতে পারে। বাজার অংশগ্রহণকারী এবং নীতিনির্ধারকরা পরিস্থিতির অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।