২রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫-এ ইউক্রেন রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালায়, যেখানে তেল শোধনাগার ও সামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্য করা হয় । ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ এবং ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিষেবা এই হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ।
এই হামলায় রিয়াজান ও নভোশাখতিনস্ক অঞ্চলের তেল শোধনাগার এবং ভোরোনেজ অঞ্চলের একটি পেট্রোলিয়াম পণ্য ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, রিয়াজানের গভর্নর পাভেল মালকভ বলেছেন, একটি ড্রোন থেকে পড়া ধ্বংসাবশেষ একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করেছে । অন্যদিকে, সামারার গভর্নর ভ্যাচেস্লাভ ফেডোরিশচেভ নভোকুইবিশেভস্কে একটি শিল্প ইউনিটে "শত্রু ইউএভি" হামলার কথা স্বীকার করেছেন ।
পেনজায়, ইলেক্ট্রোপিবর প্ল্যান্টে হামলার খবর পাওয়া গেছে । এছাড়াও, ইউক্রেনীয় ড্রোনগুলো ভোরোনেজ অঞ্চলের আনা নেফতেপ্রোডাক্ট জ্বালানি ও লুব্রিকেন্ট স্টোরেজ ঘাঁটিকেও টার্গেট করে ।
এসব ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর নিশ্চিত করা হয়নি ।
এই হামলা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরগুলোতে হামলা জোরদার করেছে । ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী বলছে, এই হামলা ছিল রাশিয়ার আক্রমণের একটি "জবাব"।
এ ঘটনায় বেশ কিছু অঞ্চলে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা সীমিত করা হয়েছে এবং সামারা বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ।
পর্যবেক্ষকদের মতে, এই হামলা রাশিয়ার জ্বালানি সরবরাহ এবং ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে ।
এই সংঘাতের ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ।