অ্যাঙ্গোলায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: বিক্ষোভ ও অস্থিরতা
২০২৫ সালের জুলাই মাসে অ্যাঙ্গোলার সরকার ডিজেলের দাম ৩০%-এর বেশি বৃদ্ধি করার পর দেশটিতে বিক্ষোভ ও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে । এই মূল্যবৃদ্ধি জ্বালানি ভর্তুকি কমানো এবং সরকারি আর্থিক অবস্থা স্থিতিশীল করার পরিকল্পনার অংশ ।
মূলত লুয়ান্ডায় হওয়া বিক্ষোভগুলোতে পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে ভাড়া বৃদ্ধি পায় । পরবর্তীতে, এই বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেয়, যার ফলে বেশ কয়েকজন নিহত এবং অনেকে গ্রেপ্তার হয় ।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় কমপক্ষে ২২ জন নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ১২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । বিক্ষোভকারীরা দোকানপাট ও যানবাহনে ভাঙচুর চালায় । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশটির সরকার সেনাবাহিনী মোতায়েন করে ।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সমর্থিত একটি নীতি অনুসারে, সরকার ২০২৩ সাল থেকে ধীরে ধীরে জ্বালানি ভর্তুকি তুলে নিচ্ছে । ডিজেলের দাম বাড়ানোর পূর্বে সরকার জানায়, ভর্তুকি তুলে নেওয়ার ফলে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে প্রায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যোগ করা সম্ভব হবে ।
আফ্রিকা স্টাডিজ সেন্টারের মতে, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়ে দিতে পারে এবং ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস করে সামাজিক অস্থিরতা বাড়াতে পারে ।
এমতাবস্থায় অ্যাঙ্গোলার সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে তেল নির্ভর অর্থনীতি থেকে অন্যান্য খাতের দিকে মনোযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে । সরকার ২০৫০ সালের মধ্যে অর্থনীতিকে আরওdiversify করার জন্য একটি জাতীয় কৌশল তৈরি করছে ।
পর্যটন, কৃষি এবং অবকাঠামো উন্নয়নের দিকে সরকার বিশেষ নজর দিচ্ছে । এছাড়া, ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের ব্যবসার প্রসারের জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে ।