নাসার TRACERS (Tandem Reconnection and Cusp Electrodynamics Reconnaissance Satellites) মিশনটি ২০২৩ সালের ২৩শে জুলাই ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যানডেনবার্গ স্পেস ফোর্স বেস থেকে স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে ।
এই অভিযানের প্রধান লক্ষ্য হল চৌম্বকীয় পুনর্সংযোগ (magnetic reconnection) অধ্যয়ন করা, যা সূর্য থেকে আসা সৌর বায়ু এবং পৃথিবীর ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মিথস্ক্রিয়া প্রক্রিয়া । এই প্রক্রিয়াটি মহাকাশের আবহাওয়ার উপর প্রভাব ফেলে ।
আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ডেভিড মাইলস এই মিশনের প্রধান হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন । সাউথওয়েস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট এই মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ।
TRACERS মিশনে দুটি উপগ্রহ ব্যবহার করা হবে, যা পৃথিবীর মেরু অঞ্চলের কাছাকাছি চৌম্বক ক্ষেত্ররেখা উন্মুক্ত হওয়ার স্থানগুলোতে (polar cusps) কাজ করবে । এই যমজ উপগ্রহগুলো একে অপরের থেকে মাত্র ১০ থেকে ১২০ সেকেন্ডের ব্যবধানে থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে ।
এই মিশনটি সৌর বাতাসের শক্তি কীভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করবে । এই তথ্য ভবিষ্যতে স্যাটেলাইট এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে ।
TRACERS মিশনের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা এক বছরে প্রায় ৩,০০০ বার চৌম্বকীয় পুনর্সংযোগের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করবেন বলে আশা করা যায় । এই মিশনটি মহাকাশ পদার্থবিদ্যায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা পৃথিবীর ম্যাগনেটোস্ফিয়ার এবং সৌর কার্যকলাপের মধ্যে সম্পর্ককে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে ।
এই মিশনের সংগৃহীত ডেটা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে ।
এই উৎক্ষেপণে আরও তিনটি ছোট স্যাটেলাইট ছিল: Athena EPIC, PExT, এবং REAL ।
TRACERS মিশনের প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হল:
সৌর বায়ু পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের উপর কীভাবে প্রভাব ফেলে তা study করা
চৌম্বকীয় পুনর্সংযোগের হার পরিমাপ করা এবং সময়ের সাথে সাথে এটি কীভাবে পরিবর্তিত হয় তা দেখা
মেরু অঞ্চলে চৌম্বকীয় পুনর্সংযোগ কখন এবং কোথায় ঘটে, তার মধ্যেকার সম্পর্ক বোঝা