নাসা তাদের এক্স-৫৯ কোয়েট সুপারসনিক টেকনোলজি (QueSST) বিমানের প্রথম উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা বিমান ভ্রমণের জগতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চলেছে। এই উদ্ভাবনী বিমানটি শব্দ-তরঙ্গ হ্রাস করে সুপারসনিক গতিতে উড়তে সক্ষম।
এক্স-৫৯ প্রকল্পটি সুপারসনিক ফ্লাইটকে আরও সহজলভ্য করার লক্ষ্যে কাজ করছে, যা শব্দ-তরঙ্গের সমস্যা দূর করবে। বিমানটি ঘন্টায় প্রায় ১,১০০ মাইল বেগে (ম্যাক ১.৪২) ৫৫,০০০ ফুট উচ্চতায় উড়তে সক্ষম, যা মাত্র ৭৫ ই পি এন ডিবি (EPNdB) শব্দ তৈরি করবে।
জুলাই ২০২৫-এ ইউএস এয়ার ফোর্সের প্ল্যান্ট ৪২-এ ট্যাক্সি পরীক্ষা চালানো হয়েছে, যেখানে বিমানের স্টিয়ারিং এবং ব্রেকিং সিস্টেম পরীক্ষা করা হয়। জেনারেল ইলেকট্রিক এফ৪১৪-জিই-১০০ ইঞ্জিন, যা ২২,০০০ পাউন্ড থ্রাস্ট তৈরি করে, নভেম্বর ২০২২ সালে স্থাপন করা হয়েছিল।
উচ্চ-গতির ট্যাক্সি পরীক্ষা সফল হলে, নাসা জনবহুল এলাকায় ফ্লাইট পরীক্ষার একটি অভিযান শুরু করার পরিকল্পনা করছে। এর মাধ্যমে, বিজ্ঞানীরা জানতে পারবেন কীভাবে শান্ত শব্দগুলি মাটিতে অনুভূত হয়। এক্স-৫৯ নাসা এবং লকহিড মার্টিনের স্কঙ্ক ওয়ার্কসের মধ্যে একটি সহযোগিতা, যা দেখায় কীভাবে প্রযুক্তি মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পারে।
এই বিমানটি বিমান ভ্রমণের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে পারে, যা বিশ্বব্যাপী সংযোগের নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে।