মহাকাশে পোলিশ পিরোগি: এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত
জুন ২০২৫ সালে, স্łaওosz Uznański-Wiśniewski দ্বিতীয় পোলিশ নভোচারী হিসেবে মহাকাশে যাত্রা করে ইতিহাস তৈরি করেন, যা পোল্যান্ডকে প্রায় ৪৭ বছর পর আবার মহাকাশ অভিযানে ফিরিয়ে আনে [১, ২]। তিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) অ্যাক্সিয়াম মিশন ৪ (Ax-4)-এর অংশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও হাঙ্গেরির নভোচারীদের সঙ্গে যোগ দেন [১, ২]।
মিশনে পোলিশ সংস্কৃতির ছোঁয়া
Uznański-Wiśniewski তাঁর এই মিশনে পোলিশ সংস্কৃতির একটি অংশ হিসেবে ফ্রিজ-ড্রাইড পিরোগি নিয়ে যান [১]। পোলিশ কোম্পানি LYOFOOD-এর সঙ্গে যৌথভাবে এই পিরোগি তৈরি করা হয় [১]। ফ্রিজ-ড্রাইং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পিরোগি হালকা ও সহজে বহনযোগ্য করা হয়, যা মহাকাশ ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত [১]।
মহাকাশে পিরোগি ভোজন
৬ জুলাই, ২০২৫ তারিখে, Uznański-Wiśniewski মহাকাশে পিরোগি খাওয়ার অভিজ্ঞতা লাইভ সম্প্রচারে শেয়ার করেন [১]। তিনি জানান, বাঁধাকপি ও মাশরুম দিয়ে ভরা নিরামিষ পিরোগি ক্রিসমাসের সময় পোল্যান্ডে পরিবেশিত খাবারের মতোই [১]। নভোচারীদের খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন দেশের খাবার অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সহায়তা করে [১]।
সাংস্কৃতিক ও স্বাদের গুরুত্ব
নাসা জানিয়েছে, তারা মহাকাশে খাদ্য উৎপাদনের জন্য নতুন প্রযুক্তি তৈরি করছে, যা ভবিষ্যতে নভোচারীদের জন্য আরও বিভিন্ন খাবারের যোগান দেবে [১]। মহাকাশে খাদ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে সংস্কৃতি ও স্বাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, যা নভোচারীদের মনোবল বাড়াতে সাহায্য করে [১]।
মিশনের সমাপ্তি
Uznański-Wiśniewski-এর মিশনটি ১৫ জুলাই, ২০২৫ তারিখে শেষ হয়। তিনি আইএসএস-এ ২০ দিন অতিবাহিত করেন এবং ৬০টিরও বেশি পরীক্ষা চালান [১, ২]। তাঁর এই যাত্রা বিজ্ঞান গবেষণায় অবদান রাখে এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ অনুসন্ধানে পোল্যান্ডের অবদানকে তুলে ধরে [১, ৬]।
এ থেকে এটা স্পষ্ট যে খাদ্য শুধু মানুষের প্রয়োজন নয়, এটি সংস্কৃতিরও একটি অংশ, যা মহাকাশে মানুষের জীবনকে সমৃদ্ধ করে [১]।