চীন ২০২৫ সালের ২৮শে মে লং মার্চ ৩বি রকেটে করে তিয়ানওয়েন-২ মিশন সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে। এই মিশনের প্রাথমিক উদ্দেশ্যগুলির মধ্যে রয়েছে পৃথিবীর নিকটবর্তী গ্রহাণু ৪৬৯২১৯ কামো'ওলেওয়া থেকে নমুনা সংগ্রহ করা এবং প্রধান-বেল্টের ধূমকেতু ৩১১পি/প্যানস্টার্সের কাছাকাছি থেকে অনুসন্ধান চালানো।
তিয়ানওয়েন-২ মহাকাশযানটি ২০২৬ সালে কামো'ওলেওয়াতে পৌঁছানোর কথা। বিজ্ঞানীরা মনে করেন কামো'ওলেওয়া চাঁদের একটি খণ্ড হতে পারে, যা কোনো সংঘর্ষের কারণে ছিটকে গেছে। এই মিশনের লক্ষ্য হল পৃষ্ঠের নমুনা সংগ্রহ করা এবং একটি পুনরায় প্রবেশ ক্যাপসুল ব্যবহার করে ২০২৭ সালের শেষের দিকে সেগুলি পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা।
এরপর, তিয়ানওয়েন-২ পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণকে একটি স্লিংশট কৌশল হিসাবে ব্যবহার করবে, যার মাধ্যমে ধূমকেতু ৩১১পি/প্যানস্টার্সের দিকে সাত বছরের যাত্রা শুরু হবে, যা ২০৩৫ সালের কাছাকাছি পৌঁছানোর কথা। এই মিশনটি ধূমকেতুর কক্ষপথ, আকার, ঘূর্ণন, পৃষ্ঠের গঠন এবং ধূলিকণার কার্যকলাপ অধ্যয়ন করবে। সফল হলে, চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের পর গ্রহাণু থেকে নমুনা ফিরিয়ে আনা তৃতীয় দেশ হবে।
এই মিশনটি বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহের কৌশল পরীক্ষা করবে, যার মধ্যে গ্রহাণুর পৃষ্ঠে সম্ভাব্য অবতরণও অন্তর্ভুক্ত। সংগৃহীত ডেটা সৌরজগতের বিবর্তন সম্পর্কে ধারণা দেবে এবং গ্রহ প্রতিরক্ষা কৌশলগুলিতে সহায়তা করবে। তিয়ানওয়েন-২ চীনের গভীর মহাকাশ অনুসন্ধান কর্মসূচিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।