চীনের শিজিয়ান-২৫ উপগ্রহ, যা ২০২৫ সালের ৬ জানুয়ারি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে, কক্ষপথে জ্বালানি ভরার কার্যক্রম পরীক্ষা করছে। এই মিশনের মধ্যে রয়েছে বেইডৌ-৩ জি৭ স্যাটেলাইটের সঙ্গে ডকিং করা এবং ১৪২ কিলোগ্রাম হাইড্রাজিন স্থানান্তর করে এর কর্মক্ষম জীবন আট বছর বাড়ানো।
কক্ষপথে জ্বালানি ভরার বিষয়টি স্যাটেলাইটগুলোর জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে সেগুলোর মহাকাশের আবর্জনায় পরিণত হওয়ার সমস্যা সমাধান করে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস)-কেও উচ্চতা বজায় রাখার জন্য পর্যায়ক্রমে বুস্ট করতে হয়, সাধারণত ডক করা সরবরাহকারী ক্রাফট ইঞ্জিন ব্যবহার করে। ২০০৭ সালে ডিএআরপিএ-র অরবিটাল এক্সপ্রেস মিশন স্বয়ংক্রিয়ভাবে জ্বালানি স্থানান্তর এবং যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপনের বিষয়টি প্রদর্শন করে।
শিজিয়ান-২৫-এর লক্ষ্য হল ভূসমলয় কক্ষপথে জ্বালানি ভরার বিষয়টি প্রদর্শন করা, যা যোগাযোগ স্যাটেলাইটগুলোর জন্য উপকারী। চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে নিখুঁতভাবে মিলিত হওয়া এবং লিক প্রতিরোধ করা। মহাকাশ অভিযানে স্থিতিশীলতা এবং ব্যয়সাশ্রয়ীতা বাড়াতে বিভিন্ন কোম্পানি ও মহাকাশ সংস্থা জ্বালানি ভরার পদ্ধতি তৈরি করছে।