কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে বিদ্যুতের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায়, গুগল তার এআই ডেটা সেন্টারগুলিতে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যবস্থাপনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। আগস্ট ২০২৫-এ, কোম্পানিটি ইন্ডিয়ানা মিশিগান পাওয়ার এবং টেনেসী ভ্যালি অথরিটির সাথে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তিগুলির মাধ্যমে, বিদ্যুতের চাহিদা যখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে, তখন গুগলের এআই ডেটা সেন্টারগুলি তাদের বিদ্যুৎ ব্যবহার সাময়িকভাবে কমাতে সক্ষম হবে। এই উদ্যোগটি গ্রিডের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং এআই অ্যাপ্লিকেশনগুলির বিশাল শক্তি চাহিদা পরিচালনা করতে সহায়ক হবে।
গুগলের ডেটা সেন্টারগুলিতে এআই অ্যাপ্লিকেশনগুলির ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে ২০২৪ সালে বিদ্যুতের ব্যবহার ২৭% বৃদ্ধি পেয়েছে। কোম্পানিটি ২০২৪ সালে ২.৫ গিগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা যুক্ত করেছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ২৪/৭ কার্বন-মুক্ত শক্তি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এই ডিমান্ড-রেসপন্স প্রোগ্রামগুলিতে গুগলের আনুষ্ঠানিক অংশগ্রহণ একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা, কারণ এই ধরনের প্রোগ্রামগুলি সাধারণত ভারী শিল্পগুলি ব্যবহার করে থাকে। বড় সুবিধাগুলি সাময়িকভাবে তাদের বিদ্যুৎ ব্যবহার কমাতে সক্ষম হওয়ার মাধ্যমে, গুগল ব্ল্যাকআউট প্রতিরোধে এবং অন্যান্য গ্রাহকদের জন্য বিদ্যুতের খরচ কমাতে অবদান রাখছে। গুগলের এই কৌশলগত পদক্ষেপটি এআই-এর ক্রমবর্ধমান শক্তি চাহিদা এবং টেকসই শক্তি সমাধানের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য একটি বৃহত্তর শিল্পের প্রবণতাকে প্রতিফলিত করে। ডিমান্ড-রেসপন্স পদ্ধতির মাধ্যমে এআই-এর শক্তি পদচিহ্ন পরিচালনা করা গ্রিডের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং টেকসই শক্তি অনুশীলনকে উৎসাহিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (IEA) অনুমান করেছে যে ২০৩০ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যুতের চাহিদার বৃদ্ধির প্রায় অর্ধেক ডেটা সেন্টারগুলি থেকে আসবে, যা এই ধরনের উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। গুগলের পরিচ্ছন্ন শক্তিতে চলমান বিনিয়োগ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ২৪/৭ কার্বন-মুক্ত কার্যক্রম অর্জনের প্রচেষ্টা এআই বিপ্লবের দ্বারা সৃষ্ট শক্তি চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলায় তাদের অগ্রণী ভূমিকা তুলে ধরেছে।