বার্বাডোসের বিজ্ঞানীরা পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় একটি নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের (UWI) বিজ্ঞানীরা সারগাসাম নামক সামুদ্রিক শৈবালকে বায়ো-কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাসে (bio-CNG) রূপান্তর করার একটি প্রক্রিয়া তৈরি করেছেন।
এই উদ্ভাবন একদিকে যেমন পরিবেশগত সমস্যা সমাধান করবে, তেমনই নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসও তৈরি করবে। এই প্রক্রিয়ায় সারগাসামের সঙ্গে রাম ডিস্টিলারি থেকে নির্গত বর্জ্য জল ব্যবহার করা হয়। এরপর এটিকে অ্যানেরোবিক ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণ করে বায়োগ্যাস উৎপাদন করা হয়। এই বায়ো-সিএনজি যানবাহনে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব।
ড. লেজেনা হেনরি, Rum and Sargassum Inc.-এর প্রতিষ্ঠাতা, এই উদ্ভাবনের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবনী ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে পরিবেশবান্ধব সমাধান তৈরি করা সম্ভব।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং পর্যটন শিল্পের উন্নতি সম্ভব। বার্বাডোস ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন-নিরপেক্ষ দ্বীপ হওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে এবং এই প্রকল্পটি সেই লক্ষ্যের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
উল্লেখ্য, অতিরিক্ত সারগাসামের কারণে সমুদ্র সৈকত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পর্যটন খাতে ক্ষতি হয়। বায়ো-সিএনজি তৈরির এই পদ্ধতি উপকূলের সৌন্দর্য রক্ষা করতেও সাহায্য করবে।