অস্ট্রেলিয়ায় শিশুদের অনলাইন সুরক্ষায় ইউটিউব নিষিদ্ধ

সম্পাদনা করেছেন: Veronika Radoslavskaya

অস্ট্রেলিয়া সরকার শিশুদের অনলাইন সুরক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। পূর্বে ছাড় দেওয়া হলেও, এখন ইউটিউবকেও সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে ।

ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে । এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হলো অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর নেতিবাচক প্রভাব থেকে শিশুদের রক্ষা করা ।

ই-সেফটি কমিশনারের পরামর্শের পর সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে । নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুরা ইউটিউবে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবে না, যা তাদের বয়স-সীমাবদ্ধ বিষয়বস্তু দেখতে দেয় । তবে, তারা ইউটিউব কিডস ব্যবহার করতে পারবে অথবা লগ ইন না করেই ভিডিও দেখতে পারবে ।

অস্ট্রেলিয়ার ই-সেফটি কমিশনারের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় চারজনের মধ্যে একজন শিশু ইউটিউবে ক্ষতিকারক কনটেন্ট দেখেছে । এই কারণে সরকার ইউটিউবকে অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের সাথে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।

নভেম্বর ২০২৪-এ পাস হওয়া অনলাইন সেফটি অ্যামেন্ডমেন্ট (সোশ্যাল মিডিয়া মিনিমাম এইজ) অ্যাক্ট, সামাজিক মাধ্যমগুলোতে শিশুদের অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে বাধা দিতে ব্যর্থ হলে প্ল্যাটফর্মগুলোর উপর $49.5 মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করে ।

ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বলছে যে তারা অনলাইন ক্ষতি কমানোর ব্যাপারে সরকারের সাথে একমত, কিন্তু তাদের প্ল্যাটফর্ম অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম থেকে আলাদা । তারা এই সিদ্ধান্তের পরবর্তী পদক্ষেপ বিবেচনা করছে এবং সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে ।

প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেছেন, "সোশ্যাল মিডিয়া শিশুদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, এবং আমরা অভিভাবকদের পাশে আছি" ।

যোগাযোগ মন্ত্রী অ্যানিকা ওয়েলস বলেছেন, "আমরা প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর দ্বারা ভীত হব না" ।

উৎসসমূহ

  • Daily Mail Online

  • Reuters

  • AP News

  • Financial Times

  • ABC News

  • The Guardian

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।