গ্লোবাল অটোমোবাইল জায়ান্ট টয়োটা মোটর কর্পোরেশন জাপানের আইচি প্রিফেকচারের টয়োটা সিটিতে একটি নতুন গাড়ি উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। ২০৩০-এর দশকের প্রথম দিকে এই প্ল্যান্টের কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ২০১২ সালের পর জাপানে টয়োটার প্রথম নতুন অ্যাসেম্বলি প্ল্যান্ট হবে। এই সম্প্রসারণের ঘোষণাটি এসেছে যখন টয়োটা তাদের ২০২৬ অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করেছে। এই সময়ে বিশ্বব্যাপী ২.৮২৯ মিলিয়ন গাড়ি সরবরাহ করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৭.৩% বেশি।
তবে, এই ইতিবাচক বিক্রির ধারা সত্ত্বেও, টয়োটা তাদের পূর্ণ-বছরের অপারেটিং মুনাফার পূর্বাভাস ১৬% কমিয়ে ৩.২ ট্রিলিয়ন ইয়েন (২১.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) করেছে। এই মুনাফার পূর্বাভাস হ্রাসের প্রধান কারণ হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি শুল্কের কারণে প্রত্যাশিত ১.৪ ট্রিলিয়ন ইয়েন (৯.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) ক্ষতি। এছাড়াও, কাঁচামালের বর্ধিত মূল্য এবং শক্তিশালী ইয়েনও এই সংশোধনে অবদান রেখেছে। এই আর্থিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, টয়োটা জাপানে তাদের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৩ মিলিয়ন গাড়ি বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার অর্ধেক বিদেশে রপ্তানির জন্য নির্ধারিত। যদিও সম্প্রতি টোকিও এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে যা জাপানি গাড়ির উপর শুল্ক ১৫%-এ নামিয়ে আনার সম্ভাবনা তৈরি করেছে (যা পূর্বে ২৭.৫% ছিল), তবে এই পরিবর্তনের সময়সীমা এখনও অনিশ্চিত। এই অনিশ্চয়তা শিল্পের উপর একটি ধারাবাহিক চাপ সৃষ্টি করছে। টয়োটার উত্তর আমেরিকার ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও এই শুল্কের কারণে প্রথম ত্রৈমাসিকে একটি অপারেটিং লোকসান হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের লাভের বিপরীতে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। এই প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও, টয়োটা তাদের জাপানের উৎপাদন ক্ষমতা বজায় রাখার উপর জোর দিচ্ছে। নতুন প্ল্যান্টটি ভবিষ্যতের প্রযুক্তি এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মপরিবেশের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে, যা কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদী কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।