২০২৫ সালের জুন মাসে সেলসফোর্সের সিইও মার্ক বেনিওফ ঘোষণা করেছেন যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কোম্পানির কাজের ৩০% থেকে ৫০% পর্যন্ত পরিচালনা করছে।
এটি "ডিজিটাল শ্রম বিপ্লবের" একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যা কোড লেখা থেকে গ্রাহক সেবার মতো কাজগুলোকে নতুন রূপ দিচ্ছে। এআইয়ের ভূমিকা শুধুমাত্র দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নয়; এটি কাজের ধারণাকে মূলে পরিবর্তন করছে, যা আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির মতোই গভীর ও ব্যাপক।
এআই সিস্টেমগুলি কোড লেখা এবং গ্রাহক যোগাযোগ পরিচালনার মতো কাজগুলি সামলাচ্ছে। এই পরিবর্তন স্কেলেবিলিটি ও নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, যা সেলসফোর্স মানব তত্ত্বাবধানে এআই মডেলগুলো উন্নত করে সমাধান করছে।
এআই গ্রহণের ফলে কর্মসংস্থান ও দক্ষতা উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, যা আমাদের বাঙালি সমাজের বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। বেনিওফ আশা করেন যে এআই শিল্প জুড়ে কাজের ধরন পরিবর্তন করবে, দক্ষতা বাড়াবে এবং নতুন নৈতিক কাঠামোর প্রয়োজনীয়তা তৈরি করবে।
চ্যালেঞ্জ হলো এই বিপ্লবকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো, ঝুঁকি কমানো এবং নিশ্চিত করা যে এআইয়ের সুফল শ্রমজীবী ও সমাজের মাঝে সমানভাবে বিতরণ হয়, যা আমাদের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ ও সামাজিক দায়বদ্ধতার সঙ্গে মিলে যায়।