আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ভিত্তিক আর্থিক সহকারী ক্লিও তার নতুন সংস্করণ ৩.০ চালু করেছে। ২০১৬ সালে বার্নি হাসি-ইও কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই ফিনটেক কোম্পানিটি ব্যবহারকারীদের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করে ৷
ক্লিও ৩.০ সংস্করণে নতুন কিছু বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দ্বিমুখী ভয়েস কথোপকথন, যা ব্যবহারকারীদের সাথে সরাসরি কথা বলার সুযোগ তৈরি করে । এছাড়াও, এতে দীর্ঘমেয়াদী মেমোরি এবং উন্নত যুক্তি যুক্ত করা হয়েছে, যা ব্যবহারকারীর আর্থিক লক্ষ্য এবং পছন্দ মনে রাখতে সহায়ক ।
ক্লিও ৩.০ ওপেনএআই-এর ও৩ মডেল দ্বারা চালিত, যা জটিল আর্থিক সিদ্ধান্তগুলিকে সহজ করে তোলে । এর ফলে ব্যবহারকারীরা একটি সুস্পষ্ট ধারণা পায়। ক্লিও-এর দাবি, তাদের ব্যবহারকারীর সম্পৃক্ততা অন্যান্য ব্যাংকিং অ্যাপের তুলনায় ২০ গুণ বেশি ।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, এআই আর্থিক সহায়কের বাজার ২০২৭ সালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে । বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বাজারের আকার ১.২ বিলিয়ন থেকে ৪২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে, যেখানে বার্ষিক বৃদ্ধির হার প্রায় ১৭.৯% থেকে ২৬.১% । ক্লিও বর্তমানে ১ মিলিয়নের বেশি গ্রাহক পাওয়ার পথে রয়েছে এবং তাদের বার্ষিক পুনরাবৃত্ত রাজস্ব ২৫০ মিলিয়ন ডলার ।
ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি)-এর সাথে একটি নিষ্পত্তিতে ক্লিওকে ১৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তারা নগদ অগ্রিম পণ্যের মাধ্যমে গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করেছে । তবে, এই সমস্যা সত্ত্বেও, ক্লিও তাদের উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে ।
ক্লিও-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও বার্নি হাসি-ইও জানান, ক্লিও ৩.০ একটি সাধারণ চ্যাটবট থেকে বেশি কিছু, এটি ব্যবহারকারীদের আর্থিক পরামর্শ দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে । তিনি আরও বলেন, ক্লিও ব্যবহারকারীর লক্ষ্য মনে রাখে এবং ব্যক্তিগতকৃত আর্থিক পরামর্শ দিয়ে থাকে ।
ক্লিও ২০২৫ সালের মধ্যে ১ মিলিয়নের বেশি গ্রাহক এবং বার্ষিক ২৫০ মিলিয়ন ডলার রাজস্ব অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে । কোম্পানিটি ভবিষ্যতে আইপিও (IPO) করার পরিকল্পনা করছে ।