প্রিমা মেন্ট-এর তৈরি করা প্লেয়াইডিস নামক একটি নতুন এআই মডেল আলঝেইমার রোগের গবেষণা জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই মডেলটি কীভাবে কাজ করে এবং এর সম্ভাব্য প্রভাব কী, তা নিয়ে প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করা হলো।
প্লেয়াইডিস মূলত মানুষের রোগ বোঝার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা এপিজোনোমিক এবং আণবিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে কাজ করে। এটি ৭ বিলিয়ন প্যারামিটার পর্যন্ত জেনারেটিভ ট্রান্সফর্মার ব্যবহার করে এবং ১.৯ ট্রিলিয়ন টোকেন-এর বিশাল ডেটাসেটের উপর প্রশিক্ষিত। এই মডেলটি রক্ত থেকে রোগের সংকেত শনাক্ত করতে পারে এবং রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে হস্তক্ষেপের জন্য উপযুক্ত লক্ষ্য চিহ্নিত করতে সক্ষম। গবেষণায় দেখা গেছে, প্লেয়াইডিস ক্লিনিকাল লক্ষণ দেখা দেওয়ার আগেই স্নায়ু কোষের ক্ষয় শনাক্ত করতে পারে। বাংলাদেশেও বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, তাই আলঝেইমারের চিকিৎসা এবং গবেষণার গুরুত্ব বাড়ছে।
প্লেয়াইডিসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্তকরণ এবং উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। এই মডেলের মাধ্যমে রোগের আণবিক প্রোফাইল চিহ্নিত করা এবং চিকিৎসার নতুন পথ খুঁজে বের করা সম্ভব হবে। Prima Mente ১০০০ জন রোগীর উপর একটি গবেষণা শুরু করেছে, যা এই এআই মডেলের কার্যকারিতা প্রমাণ করতে সাহায্য করবে। প্লেয়াইডিসের মতো প্রযুক্তির মাধ্যমে আলঝেইমারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে, যা বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনকে উন্নত করবে।