সাইক রক ব্যান্ড দ্য ভেলভেট সানডাউন ২০২৫ সালের জুনে স্পটিফাই-তে আত্মপ্রকাশ করে, দ্রুতই মাসিক ৪০০,০০০ এরও বেশি শ্রোতা আকৃষ্ট করে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যেখানে সঙ্গীত ও শিল্পের প্রতি গভীর আবেগ ও বৌদ্ধিক আলোচনা প্রবল।
তারা দুটি অ্যালবাম প্রকাশ করে, "Floating On Echoes" এবং "Dust and Silence", এবং তৃতীয়টি পরিকল্পনাধীন। এই সঙ্গীত যাত্রা বাংলা সাহিত্যের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের মতো গভীর ও আন্তরিক অনুভূতির প্রতিফলন ঘটায়।
কিন্তু ব্যান্ডের সত্ত্বা নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়, কারণ সদস্যদের সম্পর্কে যাচাইযোগ্য তথ্য ও অনলাইন কার্যক্রমের অভাব ছিল। এটি আমাদের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যেখানে স্বচ্ছতা ও সত্যতার গুরুত্ব অপরিসীম।
অধিক তদন্তে জানা যায়, দ্য ভেলভেট সানডাউনের কিছু গান ডিজার দ্বারা সম্ভাব্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-উৎপন্ন হিসেবে চিহ্নিত হয়।
প্রকল্পের মুখপাত্র অ্যান্ড্রু ফ্রেলন নিশ্চিত করেন যে এটি একটি "কলা প্রতারণা", যা জেনারেটিভ AI প্ল্যাটফর্ম সুনো ব্যবহার করে তৈরি। প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল সঙ্গীত শিল্পে কৃত্রিম সৃষ্টির প্রভাব অন্বেষণ করা, যা আমাদের সাংস্কৃতিক আলোচনার জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
দ্য ভেলভেট সানডাউনের গল্প কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-উৎপন্ন সঙ্গীতের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি তুলে ধরে। এটি প্রামাণিকতা, কপিরাইট, এবং সঙ্গীত সৃষ্টির ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন তোলে, যা আমাদের সাংস্কৃতিক ও বৌদ্ধিক পরিসরে গভীর ভাবনার বিষয়।
যখন AI প্রযুক্তি বিকশিত হচ্ছে, তখন মানব ও যন্ত্রসৃষ্ট শিল্পের সীমা ক্রমশ অস্পষ্ট হয়ে উঠছে, যা আমাদের সাংস্কৃতিক ও আবেগপ্রবণ দৃষ্টিভঙ্গিকে নতুন আলোকে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করে।