ম্যাডোনা-র বহু প্রতীক্ষিত রিমিক্স অ্যালবাম 'ভেরোনিকা ইলেকট্রোনিকা' প্রকাশিত হয়েছে, যা তাঁর প্রশংসিত 'রে অফ লাইট' যুগের গানগুলিকে এক নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপন করছে। ১৯৯৮ সালে প্রথম এই প্রকল্পটি তৈরি হলেও, মূল অ্যালবামের অভূতপূর্ব সাফল্যের কারণে এটি বিলম্বিত হয়েছিল এবং অবশেষে দুই দশকেরও বেশি সময় পর এটি প্রকাশিত হলো। আটটি গানের এই সংকলনে উইলিয়াম অরবিট, সাশা এবং বিটি-র মতো বিখ্যাত প্রযোজকদের বিরল এবং পূর্বে অপ্রকাশিত রিমিক্স অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিশেষ উল্লেখযোগ্য হলো 'গন, গন, গন', যা 'রে অফ লাইট' সেশনের একটি অপ্রকাশিত ডেমো। উচ্চ চাহিদার কারণে অ্যালবামটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এবং সীমিত সংস্করণের সিলভার ভিনাইলে উপলব্ধ করা হয়েছিল, পরবর্তীতে ক্লিয়ার ভিনাইল এবং সিডি সংস্করণও প্রকাশিত হয়। সমালোচকদের কাছ থেকে 'ভেরোনিকা ইলেকট্রোনিকা' ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে। এর উদ্ভাবনী রিমিক্স এবং পূর্বে শোনা না যাওয়া ডেমো অন্তর্ভুক্তির জন্য এটি প্রশংসিত হয়েছে। এই প্রকাশনাটি ইলেকট্রনিক সঙ্গীতে ম্যাডোনা-র দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব এবং তাঁর অতীতের কাজকে নতুনভাবে ব্যাখ্যা করার ক্ষমতা প্রদর্শন করে।
'রে অফ লাইট' অ্যালবামটি ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত হয়েছিল এবং এটি ইলেকট্রনিক, ট্রিপ-হপ, টেকনো-পপ এবং নিউ-এজ ঘরানার মিশ্রণ ছিল। এই অ্যালবামটি ম্যাডোনা-কে মূলধারার পপ সংস্কৃতিতে ইলেকট্রনিকাকে পরিচিত করাতে এবং সেই সময়ে কিশোর-কেন্দ্রিক শিল্পীদের ভিড়ে তাঁর প্রাসঙ্গিকতা প্রমাণ করতে সাহায্য করেছিল। সমালোচকরা 'রে অফ লাইট'-কে ম্যাডোনা-র অন্যতম সেরা এবং সবচেয়ে পরীক্ষামূলক অ্যালবাম হিসেবে বিবেচনা করেন। এই নতুন রিমিক্স অ্যালবামটি সেই সোনালী যুগের প্রতি একটি শ্রদ্ধাঞ্জলি, যা ভক্তদের জন্য এক বিশেষ উপহার। উইলিয়াম অরবিট, যিনি 'রে অফ লাইট'-এর সহ-প্রযোজক ছিলেন, তিনি এই অ্যালবামটিকে 'নিয়ম ভাঙা' বলে অভিহিত করেছেন, কারণ এটি সেই সময়ের প্রচলিত ধারা থেকে অনেকটাই ভিন্ন ছিল। 'ভেরোনিকা ইলেকট্রোনিকা'-তে 'রে অফ লাইট' অ্যালবামের গানগুলির নতুন রিমিক্সের পাশাপাশি 'গন, গন, গন' নামক একটি অপ্রকাশিত ডেমো গানও রয়েছে, যা ভক্তদের মধ্যে বিশেষ আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। এই রিমিক্সগুলি, যেমন বিটি এবং সাশা-র 'ড্রাউনড ওয়ার্ল্ড / সাবস্টিটিউট ফর লাভ' রিমিক্স, গানগুলিকে নতুন প্রাণ দিয়েছে এবং ক্লাব-মুখী করে তুলেছে।