অ্যাশলে মনরো, একজন প্রতিভাবান সঙ্গীতশিল্পী, তার ষষ্ঠ স্টুডিও অ্যালবাম 'টেনেসী লাইটনিং' ৮ই আগস্ট, ২০২৫ তারিখে প্রকাশ করেছেন। এই ১৭-ট্র্যাকের অ্যালবামটি তার ব্যক্তিগত জীবনের নানা অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে লিম্ফোমার সাথে লড়াই এবং জীবন, ভালোবাসা ও সহনশীলতার থিমগুলি অন্বেষণ করা হয়েছে। এই অ্যালবামে মার্টি স্টুয়ার্ট এবং শেলবি লিনের মতো শিল্পীদের সাথে কাজ করেছেন মনরো। এছাড়াও টি বোন বার্নেট, ব্রিটনি স্পেন্সার এবং আরও অনেকে এতে অবদান রেখেছেন। মনরো এবং জেনা জনসন যৌথভাবে এই অ্যালবামটি প্রযোজনা করেছেন, যেখানে কান্ট্রি, ফোক, ব্লুজ, সোল এবং পপ সঙ্গীতের মিশ্রণ ঘটেছে।
মনরো জানিয়েছেন যে লিম্ফোমা থেকে সুস্থ হওয়ার পর তার সৃজনশীলতা নতুন করে জেগে ওঠে, যা এই অ্যালবামের উদযাপনমূলক সুরকে অনুপ্রাণিত করেছে। তিনি বলেন, "যখন আমি লিম্ফোমায় আক্রান্ত হই এবং আমার চিকিৎসা শুরু করি, আমি লেখা বন্ধ করে দিয়েছিলাম, সুর শোনা বন্ধ করে দিয়েছিলাম, গান নিয়ে ভাবাও বন্ধ করে দিয়েছিলাম।" তিনি আরও বলেন, "যখন আমি অবশেষে সুস্থ হয়ে উঠি, তখন আমি আমার শিরায় জীবন এবং সঙ্গীত প্রবাহিত হতে অনুভব করতে শুরু করি। এটা ছিল বন্যার মতো, কেবল অনুপ্রেরণার একSoar।" এই অ্যালবামটি কেবল মনরোর সঙ্গীত জীবনের একটি নতুন অধ্যায়ই নয়, এটি তার সহনশীলতা এবং সঙ্গীতের নিরাময় ক্ষমতার এক শক্তিশালী প্রমাণ। এই অ্যালবামটি বর্তমানে অ্যাপল মিউজিকের মতো প্ল্যাটফর্মে শোনা যাচ্ছে। এছাড়াও, মনরো তার অ্যালবাম 'দ্য ব্লেড'-এর ১০ম বার্ষিকী উপলক্ষে ন্যাশভিলে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এই অ্যালবামটি ২০১৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল এবং এটি তার কর্মজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়। 'দ্য ব্লেড' অ্যালবামটি গ্র্যামি মনোনয়নও পেয়েছিল। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি অ্যালবামটি সম্পূর্ণভাবে পরিবেশন করেন।