অভিনেত্রী মিশেল ট্রাখটেনবার্গের মৃত্যুর পর তাঁর সঙ্গী জে কোহেনের নীরবতা ভাঙা এবং শোক প্রকাশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই ঘটনাটি আমাদের সামাজিক-মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে শোকের প্রক্রিয়া এবং জনসাধারণের প্রতিক্রিয়ার জটিলতা বুঝতে সাহায্য করে।
কোহেন, যিনি একজন প্রযোজক এবং ট্যালেন্ট এজেন্ট, ইনস্টাগ্রামে একটি প্রতিক্রিয়ায় ট্রাখটেনবার্গকে নিয়ে কথা বলতে রাজি হন। তিনি লেখেন, "একদিন! আমি দুঃখিত," যা শোকের প্রাথমিক পর্যায়ে গভীর দুঃখ এবং বেদনার বহিঃপ্রকাশ। মনোবিজ্ঞানীরা এই ধরনের প্রতিক্রিয়াকে শোকের স্বাভাবিক অংশ হিসেবে দেখেন, যেখানে ব্যক্তিরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে সংগ্রাম করে।
কোহেন আরও উল্লেখ করেন, "ধন্যবাদ, এটা ঠিক আছে, এটা সঠিক জায়গা থেকে আসে। মিশেলকে অনেকে ভালোবাসতেন।” এই মন্তব্যটি সামাজিক সমর্থন এবং ভালোবাসার গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, শোকের সময় সামাজিক সমর্থন মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কোহেনের শান্তি ও ঐক্যের বার্তাটিও তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি লিখেছেন, “মানুষ হিসেবে, আমাদের ভালোবাসার এবং প্রয়োজনে সকল মানুষকে সাহায্য করার একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে। বিভাজন শেষ করতে হবে। নিরীহ জীবন যুদ্ধের হতাহত বা রাজনীতির অংশ হওয়া উচিত নয়; সকল মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে বাঁচার অধিকার আছে।” এই বার্তাটি সহানুভূতি, মানবতা এবং সমাজের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়।
বাংলাদেশেও, সেলিব্রিটিদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ একটি সাধারণ ঘটনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোকবার্তা, শ্রদ্ধাঞ্জলি এবং আলোচনা শোকের প্রক্রিয়াটিকে আরও দৃশ্যমান করে তোলে। কোহেন এবং ট্রাখটেনবার্গের ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, শোককে সংবেদনশীলতার সাথে মোকাবেলা করা এবং সামাজিক সমর্থনকে উৎসাহিত করা মানসিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।