খবর অনুযায়ী, ডেভিড বেকহ্যামকে নাইটহুড দিতে চলেছেন তৃতীয় চার্লস

লন্ডন (এপি) – প্রাক্তন ইংল্যান্ড ফুটবল ক্যাপ্টেন এবং দীর্ঘদিনের ইউনিসেফ দূত ডেভিড বেকহ্যামকে কিং তৃতীয় চার্লসের আসন্ন সম্মান তালিকায় নাইটহুড প্রদান করা হতে পারে। ইউকে মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, নাইটহুড বেকহ্যামের ফুটবল এবং ব্রিটিশ সমাজে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ। বিবিসি সূত্র উল্লেখ না করে জানিয়েছে যে এই সম্মান খুব শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে। নাইটহুড বেকহ্যামকে 'স্যার ডেভিড' উপাধি দেবে, যেখানে তাঁর স্ত্রী ভিক্টোরিয়া বেকহ্যাম 'লেডি বেকহ্যাম' হবেন। বেকহ্যাম এর আগে ২০০৩ সালে ফুটবলে তাঁর অবদানের জন্য অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (ওবিই) পান। ভিক্টোরিয়া বেকহ্যামকে পরে ফ্যাশন শিল্পে তাঁর অবদানের জন্য একই সম্মান দেওয়া হয়। সাধারণত বছরে দুবার, নববর্ষ এবং রাজার জন্মদিনে এই সম্মান প্রদান করা হয়। এই পুরস্কারগুলি মূলত সরকারের সুপারিশের ভিত্তিতে দেওয়া হয়, যেখানে রাজারও মতামত থাকে। প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের অফিস এবং বাকিংহাম প্যালেস স্ট্যান্ডার্ড প্রোটোকল মেনে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) নাইটহুড নিশ্চিত করেনি, যা প্রথম 'দ্য সান' ট্যাবলয়েডে প্রকাশিত হয়েছিল। এই মাসের শুরুতে চেলসি ফ্লাওয়ার শো থেকে ফুটেজে দেখা যায়, কিং তৃতীয় চার্লস বেকহ্যামের জন্য একটি জন্মদিনের উপহারের ইঙ্গিত দিচ্ছেন। রাজা বেকহ্যামকে বলেন, 'আমি খুশি যে এটা তোমার কাছে পৌঁছেছে', উত্তরে বেকহ্যাম বলেন, 'এটা অবিশ্বাস্য ছিল, ধন্যবাদ, এটা খুবই দয়ালু ছিল'। বেকহ্যাম একমাত্র ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড় যিনি তিনটি ভিন্ন বিশ্বকাপে গোল করেছেন। তাঁর কর্মজীবনের উল্লেখযোগ্য দিকগুলির মধ্যে রয়েছে ১৯৯৯ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ট্রেবল জয়ী মরসুম, যেখানে তারা প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছিল। ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে ১১৫টি ম্যাচ খেলে বেকহ্যাম সর্বকালের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন এবং ৫৯ বার দলের অধিনায়ক ছিলেন। ২০০৩ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছাড়ার পর তিনি রিয়াল মাদ্রিদ, লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সি এবং প্যারিস সেন্ট-জার্মেইনের হয়ে খেলেছেন। তিনি এখন এমএলএস দল ইন্টার মিয়ামির সহ-মালিক। তাঁর কর্মজীবনেও কিছু চ্যালেঞ্জ ছিল, বিশেষ করে ১৯৯৮ বিশ্বকাপের পর, যেখানে তিনি উল্লেখযোগ্য সমালোচনার শিকার হন। ২০২৩ সালের নেটফ্লিক্স ডকুমেন্টারি সিরিজ 'বেকহ্যাম'-এ তিনি তাঁর উপর হওয়া অত্যাচারের কথা আলোচনা করেছেন, যার মধ্যে তাঁর একটি প্রতিকৃতি প্রদর্শনও ছিল। এই ডকুমেন্টারি সিরিজটি তাঁকে ২০২৪ সালে এমি এনে দিয়েছে।